তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছর ৫ অক্টোবর সারাবিশ্বে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। এই দিনটি শিক্ষকদের অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরতে উদযাপিত হয়। শিক্ষকরা শুধু পাঠ্যবই পড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন, তারা আমাদের জীবনের মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গঠনেও বিরাট অবদান রাখেন। তারা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাতে, চিন্তাশক্তি বাড়াতে এবং সমাজের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে শেখান।
তিনি বলেন, দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং তাদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। এটি শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুযোগ, যারা তাদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সমাজের ভবিষ্যত নির্মাণে সহায়তা করছেন। এই দিনে, শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের ত্যাগ, ধৈর্য ও অবিচলতাকে সম্মান করি, যারা আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে উল্লেখ্য করে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রেখে কখনো একটি দেশের সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। বর্তমানে আমাদের বেসরকারী শিক্ষা এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে বেতন ভাতা প্রদান করা হয়, তা দিয়ে আমাদের সংসারসহ সন্তানদের লেখাপড়া করাতে খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে আমাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করুন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদ। বক্তব্য রাখেন, কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি মো. আজহারুল কবির, বিশ^ শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. মনিরুল হক পাটওয়ারী, মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাও. মো. আনিসুর রহমান।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দীপস চন্দ্র দাস, পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, প্রাথমিক শিক্ষকদের পক্ষে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক। বক্তব্য শেষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি আলোচনা সভাস্থল থেকে বের হয় স্বর্ণকলি কেজিস্কুল পর্যন্ত কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদ হাসানের উপস্থাপনায় আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন মাজিদ থেকে তেলওয়াত করেন, সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মো. আব্দুর রহিম ও গীতা থেকে পাঠ করেন পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র রায়।
এসময় উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও একাডেমিক সুপারভাইজার সুনির্মল দেউরিসহ কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।