চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল একটি নাম অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব। ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানা খেলায় অংশগ্রহণ করে ইতোমধ্যেই পুরো উপজেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ক্লাবটি। এবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তারকাদের নিয়ে তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।
শাহরাস্তির চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের চিতোষী আর এন্ড এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪। এতে অংশ নেবে অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব, যেখানে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মাঠে নামবে।
এই টুর্নামেন্টে মাঠ মাতাবেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন, সঙ্গে থাকবেন বিদেশি স্ট্রাইকার দারুজ। এছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ দলের মিডফিল্ডার সৌম্য চাকমা, লক্ষ্মীপুর জেলার রাইট ব্যাক নুরু, কুমিল্লা জেলার গোলরক্ষক মাহফুজ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মিডফিল্ডার সাইফুল, চাঁদপুর সদরের স্টপার আশিক, এবং শাহরাস্তির লেফট ব্যাক ফরিদও মাঠে নামবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব শুধু ফুটবলেই নয়, ক্রিকেটেও সমানভাবে সফল। ২০২৩ সালে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লীগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার **মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন**কে দলে এনে উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ক্লাবটি। আসন্ন শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লীগ-২০২৪ এ জাতীয় দলের আরেক তারকা সাব্বির রহমান খেলতে আসার কথা রয়েছে।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাবটি বর্তমানে কাতার প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম দিপুর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। তার সহযোগিতায় ক্লাবটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। ক্লাবটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সুজন ক্লাবের সার্বিক কার্যক্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক জাহিদুল ইসলাম দিপু ক্লাবটিকে শুধু স্থানীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তার লক্ষ্য, ক্লাবটির খেলোয়াড়রা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের জায়গা তৈরি করবে। দিপু আরও জানান, “আমরা শাহরাস্তিকে দেশের অন্যতম ক্রীড়া কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ক্রীড়া শুধু বিনোদন নয়, এটা আমাদের তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যম।”
শাহরাস্তির অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব ক্রীড়াক্ষেত্রে যে প্রভাব ফেলছে, তা শুধু এই অঞ্চলের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে নতুন সম্ভাবনার সূচনা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।