চাঁদপুরের কচুয়ার জগতপুর প্রান্তিক জনপদে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন বাইতুন নূর জামে মসজিদ। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা এ মসজিদে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মুসল্লিদের মাঝে সাড়া ফেলেছে এ ইবাদতখানা।
দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই মসজিদটি। দৃষ্টি নান্দনিক সৌন্দর্যের এ মসজিদটি কাছে টানছে দর্শনার্থীদের রাত্রি
বেলায় লাইটিংয়ের আলো ছড়াচ্ছে সৌন্দর্য। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি মসজিদটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসছে মুসল্লিরা।
এমন মসজিদ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা। কচুয়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের শেষ প্রান্তে গ্রাম জগতপুর।
এলাকায় ভালো কোনো মসজিদ না থাকায় এখানে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ। দুই কোটি টাকা ব্যয় ১৮ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ।
স্থপতি শহিদুল হাসান খান এর করা নকশায় নজর কাড়ে সবার। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ দৃষ্টিনন্দন মসজিদে নামাজ পড়তে পেরে খুশি
স্থানীয়রা।
জগতপুর দক্ষিণপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা নাজির আহমেদের বড় ভাই এরশাদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ওয়াক্ত নামাজে দেড় থেকে দুই শত মানুষ হয়। আর জুম্মার নামাকে ৪ থেকে ৫শ মানুষ নামাজ পড়তে আসে।
বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে নামাজ পড়তে ও এক নজর মসজিদটি দেখতে আসে মানুষ। তিনি
আরো বলেন আমার বড় ভাই তাঁর নামে নাজির মিয়া
ফাউন্ডেশনের ১০ তলা বিশেষ ভবনের কাজ চলছে এখানে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা খুব সহসাই চালু হবে দশ বেডের একটি চ্যারিটিবল হাসপাতাল। নাজির মিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাবলম্বী করা হবে নারীদেরও।
এ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাজির আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। কারণ এ সমাজের জন্য আমার দায়বদ্ধতা আছে।
মসজিদটিতে মানুষ নামাজ পড়ে আরামবোধ করে এতেই আমি খুশি। বিনিময়ে আমি কিছুই চাই না।
মানুষের জন্য কাজ করার আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে আমার। যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে। ভালো লাগা থেকে বিনিময়হীন এমন কাজ করেন বলে জানান মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা।
কচুয়া উপজেলার জগতপুর দক্ষিণ পাড়ায় স্থাপন হওয়া বায়তুন নূর জামে মসজিদ নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ২বছর।