হাজীগঞ্জে দুটি যাত্রীবাহী বাসের শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বোগদাদ পরিবহনের একজন সুপারভাইজারসহ অন্তত তিনজন। এ সময় ছিনতাই হয়েছে নগদ অর্থ ও একটি মোবাইল ফোন। ঘটনার পর একজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বোগদাদ বাসের চালক মোঃ জাকির হোসেন (৩৮) এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হাজীগঞ্জ থানাধীন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।
জাকির হোসেন জানান, তিনি ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৬১২৫ নাম্বারের বোগদাদ বাসের চালক। ওইদিন রাতে যাত্রী ও মালামাল নামানোর সময় প্রতিদ্বন্দ্বী পরিবহন ‘আইদী বাস’ (কুমিল্লা-ব-১১-০৩১০) এসে তার গাড়ির চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ বাসের চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ ৮-১০ জন মিলে বোগদাদ বাসের সুপারভাইজার ফয়সাল হোসেন ও হেলপার রূপ বুটের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় ফয়সাল হোসেন গুরুতর আহত হন এবং তাকে কাঠের লাঠি ও ইট দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগে বলা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ১২,৩৭০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
জাকির হোসেন আরও জানান, তিনি ও বাসের হেলপার আহত ফয়সালকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তার শার্টের পকেট থেকে নগদ ২০,০০০ টাকা ও একটি রেডমি কোম্পানির মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়াও বোগদাদ বাসের সামনের গ্লাস ও বাম পাশের ৬টি জানালার গ্লাস ভেঙে প্রায় ৫০,০০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ফয়সাল হোসেনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[ হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ]