ফাহাদ খাঁ:
ফরিদগঞ্জে ১৩ ইউপি চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা।
গত ৬ আগষ্ট রবিবার তাদের বিরোদ্ধে এই শোকজ চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৯ আগষ্ঠ বৃহস্পতিবারের মধ্যে জবাব দেওয়ার
নির্দেশ রয়েছে। এর মধ্যে তিন জবাব দিলেও জবাব দেওয়নি ১০ জন চেয়ারম্যান।
এদিকে চেয়ারম্যানরা বলেন, মিটিংএর কোন চিঠি বা মেইল কিছুই তারা
পায়নি। কিভাবে তিনি শোকজ করেন ? এমন প্রশ্ন তাদের।
জানাযায়, উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের
৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও ১৫ই আগষ্ঠ জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে গত ৪
আগষ্ঠ প্রস্তুতি সভা এবং ৫ আগষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম
জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যে সকল চেয়ারম্যান গন উপস্থিত ছিলেনা এ বিষয়ে
জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
তাছলিমুন নেছা।
শোকজ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন, ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের জসিম
উদ্দিন স্বপন, ২নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের হারুন অর রশিদ, ৩নং
সুবিদপুর পূর্ব চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, ৫নং গুপ্টি পূর্ব শাহাজান
পাটওয়ারী, ৬নং গুপ্টি পশ্চিম বুলবুল আহাম্মেদ, ৭নং পাইকপাড়া উত্তর
ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আবু তাহের পাটওয়ারী, ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিন
হোসান আহাম্মেদ রাজন, ১০নং গোবিন্ধপুর দক্ষিন ইউনিয়নের আলাউদ্দিন
ভঁ‚ইয়া, ১১নং চর দুখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান
মিরাজ, ১২নং চর দুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের শাহাজান মাষ্টার, ১৪নং ফরিদগঞ্জ
দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন, ১৫নং রুপসা উত্তর কাউসারুল আলম
কামরুল, ১৬নং রুপসা দক্ষিন শরিফ খান।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা
কোন সভার মেইল বা চিঠি পাইনি এবং আমাদের কেউ ফোন করেনি। তাহলে
কিভাবে বুজবো মিটিং রয়েছে। ইউনও কিভাবে আমাদের শোকজ করনে।
আমিতো শোকজের চিঠিও পাইনি। এখন আপনার কাছ থেকে শুনলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা বলেন, আমরা মিটিংএর
শৃঙ্খলা ও উপস্থিতি নিচ্ছিত করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। অপর প্রশ্নের
জবাবে বলেন, আমার কাছে প্রমান রয়েছে তাদের কে মেইল দেওয়া হয়েছে। তা
না হলে তিন জন কিভাবে জবাব দেয়। আমরা একটা গ্রæপ করে সভাইকে
মেইল দিয়ে থাকি। তারা মেইল চেক করতে যানেনা।