চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রহিমা বেগম (৫৫) নামে চার সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের সিদ্দিক হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে একই বাড়ির কয়েক শিশু আরবী পড়তে মক্তবে যাওয়ার পথে বাড়ি সামনে আম গাছে রহিমা বেগমের লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আম গাছের সঙ্গে রহিমা বেগমের ওড়না পেছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
একই বাড়ির কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রহিমা বেগমের পার্শ্ববর্তী এলাকা বোয়ালিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয়। সে ঘরে দুই ছেলে সন্তান থাকলেও প্রথম স্বামীকে রেখে ২০১৫ সালে মান্দারতলী গ্রামের স্বপন আহমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ের জন্ম হয়। সন্তানের জন্মের কয়েক বছর পর পুনরায় দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায় রহিমা বেগমের। এরপর বাবার বাড়িতে বাবার লিখে দেওয়া সম্পত্তির উপর ঘর তুলে দ্বিতীয় ঘরের মেয়ে হাবিবা (৭) কে নিয়েই সেখানে বসবাস করতেন।
আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো এ দিনও মেয়ে সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে গেলেও রাতের কোনো এক সময় আম গাছের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রহিমা বেগম।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে রহিমা বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।