হাজীগঞ্জে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার নামের এক ভুক্তভোগী। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর মৃত আমিন হাওলাদারের ছেলে।
অভিযোগে একই বাড়ির সজীব, সবুজ, মো. সুজন, মো. রাজু, কবির হোসেন, সুমন, মো. তফু, মতিন, স্বপ্না বেগম, আমির হোসেন হাওলাদার ও বাচ্চু মিয়াকে বিবাদী করেছেন। গত ৪ অক্টোবর, শুক্রবার ওই গ্রামের মজুমদার বাড়ির সামনে ও ৫ অক্টোবর, শনিবার হাওলাদার বাড়ির সামনে এই হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, বিবাদীদের মধ্যে কয়েকজন মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা। তারা কয়েকবার থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। গত ৪ অক্টোবর, শুক্রবার দুপুরে মজুমদার বাড়ির সামনে সজীব, সবুজ, সুজন ও রাজু মাদক বিক্রয়কালে মনোয়ার হোসেন ডাক দিলে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এরপর তারা আবারো একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গত ৫ অক্টোবর, শনিবার সকালে দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের দোকানে হামলা, ভাংচুর ও ৭০ হাজার টাকার মুদি মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তিনিসহ মনোয়ার হোসেন ও এমরান হোসেন বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়।
এই ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা নিয়ে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে গত ৬ অক্টোবর হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, ভুক্তভোগী ও মারধরের শিকার দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার। এদিকে একই ঘটনায় বিবাদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে তারাও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিবাদী আমির হোসেন হাওলাদার বলেন, দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি অতর্কিত হামলা করে আমাকে ও আমার ছেলেদেরকে মারধর করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, উভয় পক্ষ হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।