জোরপূর্বক ধর্ষণের পর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে জনি (২২) নামের এক যুবক। এদিকে ধর্ষিত ওই কিশোরী (১৫) পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আইনের আওতা পেতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পুর্ব ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্ষিতা কিশোরী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বেগমপুর গ্রামের পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গেলে দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জনি নির্জন পরিবেশ পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। এরপর ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ভয়ে কাউকে বলে নি। গত ৪ জানুয়ারী তার চালচলনে তার মা কিছুটা আন্দাজ করতে পারে। পরে তাকে চাপ প্রয়োগ করে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত ৫ জানুয়ারী তাকে ঢাকায় একটি প্রাইভেট হসপিটালে নিলে চিকিৎসা তাকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। বাধ্যবাধকতার কারণে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনার পর জনির পিতা ও মাতাকে জানালে তাদের ছেলে ভাল এবং তার ছেলের নামে বদনাম ছড়ালে খবর আছে বলে তারা উল্টো হুমকি দেয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৬ জানুয়ারী তিনি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ৭ জানুয়ারী এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা বলেন, এ ঘটনার কথা মেয়েটি ভয়ে বলতে চায়নি। পরে তাকে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞেস করলে অবশেষে সত্য বলেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা মামলা করেছি আইনগত ভাবে যা বিচার হয় আমরা তা মেনে নিব, তবে আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে রনির পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ছেলে গত ১৩ নভেম্বর সাইপ্রাস চলে গেছে। সে এ কাজ করে নাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের বিচারে যা হয় আমি মেনে নিব।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় জনি, তার বাবা-মা ও বোনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।