মতলব উত্তর ব্যুরো :
করোনার দুই বছর লোকসানের পর এবার কোরবানি ঈদে লাভের মুখ দেখেছেন মতলব উত্তরের গবাদি খামারি ও ব্যাপারীরা। বাজার থেকে এবার তারা হাসিমুখে নিজ নিজ ঘরে ফিরেছে। অনেকেই বলছেন, গত দুই বছরের লোকসান কিছুটা হলেও তুলতে পেরে তারা আনন্দিত।
রুহিতারপাড় গ্রামের ব্যাপারী আবদুর রহিম জানান, এ বছর ১০টি ষাঁড় নিয়ে বাজারে যান। বিক্রি শেষে ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
আদুরভিটি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন জানান, তিনি এবার ১০টি ষাঁড় কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। তবে স্থানীয় খামারি সূত্রে জানা যায়, এ বছর পশু বিক্রি করে তাদেরকে লোকসান গুনতে হয়েছে।
জোড়খালি গ্রামের খামারি মিজানুর রহমান জানান, পশু বিক্রি করে রলাক গুনতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. জাকির হোসেন জানান, এ বছর যেসব পশু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছিল প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্ত ডা. মো: বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, জেলায় মোট ২ হাজার ৬ শ’ ৩৪টি খামারে ৭০ হাজার গবাদি পশু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়। ঈদে কোনো ধরনের সংকট ছিলনা। পশু বিক্রি করে লাভবান হয়েছে জেলার কৃষক, খামারি ও ব্যাপারীরা।