চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সরকারী খাল দখল করে বসতঘর নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের বলাখাল কাজী বাড়ির পশ্চিম পাশের সরকারী খাল দখল করে বসতঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন,বলাখাল মাইজের বাড়ির
মাওলানা আরিফ বিল্লাহ।
তিনি উপজেলার ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কাশেমিয়া ছিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক ও কৈয়ারপুল রেল ক্রসিং মসজিদের ইমাম।
তবে অভিযুক্ত মাওলানা আরিফ বিল্লাহ
বলছেন সরকারী খাল তিনি দখল করেননি। তার ভগ্নিপতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ও হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালচোঁ ইউনিয়নের
সিঁদলা গ্রামের মজুমদার বাড়ির মাও. বেলাল হোসাইন এই খাল দখল করেছেন।
আমি কেবলমাত্র নির্মান কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছি ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দীর্ঘদিনের সচল খাল দখল করে বসত বাড়ি নির্মান করে সচল খালটি অচল করে দিলেন অভিযুক্তরা। বর্তমানে তারা ওই খাল দখল করে মাটিদ্বারা ভরাট করে সেমি পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছেন। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কোন কর্নপাত না করে মাটি দিয়ে খাল ভরাট করা হয়েছে
স্থানীয়রা জানান,আমরা বাঁধা দিতে গেলে উল্টো আমাদের সাথে তারা অসদাচরণ করে।
পরে আমরা তাদের বাঁধা দেওয়া থেকে সরে যাই। সরকারের সম্পত্তি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আমরা আশা করি।
অভিযুক্ত মাও. আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমি সরকারী খাল দখল করে বসত বাড়ি নির্মান করিনি। শুধুমাত্র নির্মান কাজের দেখাশুনার দায়িত্বে আছি। এটি দখল করেছেন আমার আপন ভগ্নিপতি মাও. বেলাল হোসাইন।
মাও. বেলাল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন,আমার শ্যালকরা খাল দখল কেন করলো আমার জানা নেই।
তবে খালের সম্পত্তি লিজ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করবো।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাইনুউদ্দিন মিয়াজী মুঠোফোন জানান,খাল দখল করে বসতঘর নির্মাণের বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আমাকে এ বিষয়ে কেউ জানায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক বলেন,সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য আমাদের লোক পাঠানো হবে। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে,তাহলে অবশ্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।