বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে চমক দেখিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিজেএস পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। অনার্স শেষ করে তারা মাস্টার্সে পড়ছেন। পড়ালেখা শেষ করার আগেই এমন ঈর্ষণীয় সাফল্যে খুশি ওই শিক্ষার্থীদের পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকরা।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সুমাইয়া নাসরিন শামা। মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন তারই সহপাঠী জান্নাতুন নাঈম মিতু এবং চতুর্থ হয়েছেন আরেক সহপাঠী ইশরাত জাহান আশা। প্রথম স্থান অর্জনকারী সুমাইয়া নাসরিন শামা নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে বড়াইগ্রাম হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। অনার্সের ফলাফলে বিভাগে তার অবস্থান দ্বিতীয়।
প্রকাশিত জুডিশিয়ারি পরীক্ষার মেধায় দ্বিতীয় হওয়া জান্নাতুন নাইম মিতু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়নশুকা এলাকার নাইমুল ইসলাম ও নাহিদা খাতুনের কন্যা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিকে ইশরাত জাহান আশার বাড়ি জয়পুরহাট জেলায়। প্রথমবার অংশ নিয়েই এমন অর্জনে উচ্ছ্বসিত তার। এ বিষয়ে সুমাইয়া নাসরিন শামা বলেন, ‘আমার এই ফলাফলের জন্য পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। সত্যি বললে প্রথম হব এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম এলেই হবে।’
জান্নাতুন নাঈম মিতু বলেন, ‘মা-বাবা, বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি হেল্প করেছে। আমি প্রথম বর্ষ থেকে একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলাম। ডিপার্টমেন্টে রেজাল্টও ভালো ছিল। আমার বন্ধুরা সবসময় আমাকে উৎসাহ দিতো। তারা বলতো, আমি চেষ্টা করলে ডিপার্টমেন্টের মতো জুডিশিয়ারিতেও প্রথম হতে পারব। যাই হোক প্রথম হতে না পারলেও দ্বিতীয় হয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’