শাখাওয়াত হোসেন শামীম:
হাজীগঞ্জ বাজারে বিজনেস পার্ক মকিমউদ্দিন শপিং সেন্টারে অবস্থিত মডেল হসপিটালের অর্থোপেডিক্স ডাক্তার রনি চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মডেল হসপিটালের জরুরী বিভাগে ঐ তরুণী সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন মডেল হসপিটালের
অর্থোপেডিক্স ডাক্তার রনি চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে।
ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট উপজেলার পল্লী চিকিৎসক দেবু মজুমদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী তরুনী যশোর জেলা সদরের নারায়ন কুমার মন্ডলের মেয়ে। ২ মাস আগে ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে ডা.রনি চন্দ্র মজুমদারের সাথে তার পরিচয়, একপর্যায়ে ফোনআলাপে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, ডাঃ রনি আমাকে বিয়ের কথা বলে খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে সে তার আত্মীয় স্বজন আসার অপেক্ষার কথা বলে আমাকে নিয়ে আবাসিক হোটেল রাত্রিযাপন করে। আমার ইচ্ছের বিরোধে জোরকরে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। রাতভর আমাকে ধর্ষণের পর সকাল বেলায় রনি তার আত্মীয় স্বজনকে আনার নাম করে সটকে পড়ে।
পরবর্তীতে আমি তার সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলে সে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
আমি ডাঃ রনির নিকটআত্মীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ বাজারে মডেল হসপিটাল নামক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ডাঃ রনিকে খুঁজে পাই। আমি ডাক্তার রনির সাথে আমাদের সম্পর্ক ও বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সে সুকৌশলে কথা এড়িয়ে আমাকে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের হাতে তুলে দিয়ে সে তার চেম্বারের দরজা বন্ধ করে দেয়।
আমি যশোর থেকে এসেছি হাজীগঞ্জে ডাঃ রনির কাছে সে আমাকে বিয়ে করবে বলার কারনে। কিন্তু আমি হাজীগঞ্জ এসে বিয়ের কথা বলার পর মডেল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীসহ আমার সাথে জোরজবরদস্তি করে টেনেহিছড়ে আমাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিতে চাইলে আমি মডেল হসপিটালে আত্মহত্যার জন্য কয়েকটি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করি।
পরে আমি অচেতন হয়ে পড়লে মডেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আামর কাছ থেকে একটি খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে আমাকে একটি সিএনজি যোগে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রেখে পালিয়ে যায়।
আমি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর বুধবার চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে বিস্তারিত জানানোর পর পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন। আমি লিখিত অভিযোগ নিয়ে এখন হাজীগঞ্জ থানায় দেই। হাজীগঞ্জে মডেল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ডাঃ রনির সাথে যোগাযোগের জন্য কোন সহায়তা করে নি।
অভিযোগের বিষয়ে ডাঃ রনির মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।