অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে এক পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছয়ছিলা গ্রামের মিয়াজি বাড়ির দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর পরিবারের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন (৬৫), সুরুজ মিয়া (৬০), ইমান হোসেন (৩৬), কাজল (৪০) ও জোৎস্না (৩০), সুমি (২৫), আয়েশা (৪৫) ও ফাতেমা (৩০)। এর মধ্যে গুরুতর আহত দেলোয়ার হোসেন, কাজল, জোৎস্না ও সুমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত দেলোয়ার হোসেন জানান, সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে এ দিন সকালে ওই বাড়ির বাহার উল্যাহ্ বাহাদ (৬৫), ছেলে টিটু (৪০), মেয়ে রোকসানা (৩৫) ও ঝলক (৩০)সহ তাদের পরিবারের লোকজন ও বাকিলা থেকে আনা বহিরাগত ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে এবং সাথে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য জিনিসিপত্র নিয়ে যায়। পরে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত সুরুজ মিয়া জানান, ভাইয়ের উপর হামলার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তারা আমাদের উপরও হামলা করে। এমনকি ভাইয়ের ঘরে মেহমান ছিল, তাদেরকেও মারধর করে তারা। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ দিকে ওই সময়ে বাহার উল্যাহ্ বাহাদ ও টিটুকে না পাওয়ায় এবং তাদের মুঠোফোন (মোবাইল) নম্বর সংগ্রহ করতে না পারায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল জানান, ওই সময়ে (মারমারি) আমি এলাকায় ছিলাম না। পরে তাদের মারধরের বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে আসবো।
বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিলন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এর আগে তিনি যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সমাধান করতে পারেন নি। তিনি বলেন, বাকিলায় তাদের দুই পক্ষেরই লোকজন রয়েছে। তাছাড়া তারা মানুষের কথায় চলে, যার কারণে তাদের ঝামেলা মিমাংসা করা যাচ্ছে না।
হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (উপ-পরিদর্শক) মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসি এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নেই।
তিনি বলেন, ওই বাড়িতে অভিযুক্তদের না পাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ সময় তিনি জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।