কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল
ইসলাম (৬০) কে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী ও তার
পরিবার।
এ ঘটনায় কচুয়া থানায় নিহতের মেয়ে কাজল আক্তার মাসুদ মিয়াকে বিবাদী করে
কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৯/৯০ , তারিখ ১৫
এপ্রিল। ওইদিনই পুলিশ আসামী মাসুদকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী তাজুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে বিতারা
ইউনিয়নের যোগিচাপর বাজারে তাজুল ইসলাম মনোহরী দোকান দিয়ে কোনো
রকমভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতো।
ব্যবসায়ীক সূত্রে যোগীচাপর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সৈয়দপুর মোড়ের সার ও
কীটনাশক ব্যবসায়ী মাসুদের সাথে তাজুল ইসলামের ব্যবসায়ীক লেনদেন ছিলো। এ
লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে বিভিন্ন
সময় ভয়ভীতি খুনজখমের হুমকি প্রদর্শন করে। ১০ এপ্রিল সকাল ১১টায় মাসুদ
অটোরিক্সা যোগে তাজুল ইসলামের দোকানে এসে তার কাছে পাওনা টাকা দাবী
করে। তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে জানালে বিবাদী
মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে সার্টের কলার ধরে এলোপাথারিভাবে মারধর করে শরীরের
বিভিন্ন নীলা ফুলা জখম করেন। এক পর্যায়ে তাজুল ইসলামকে মাথায় নিয়ে পাকা
সড়কে ছুড়ে ফেলে দেয়।
এ ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী পাশ্ববর্তী তেগুরিয়া গ্রামের জুলহাস ও ঘটনার সময়
উপস্থিত কবির হোসেন জানান, মারধরের ঘটনার পর তাজুল ইসলামের মাথায় লীলা
জখমে খুলি ফুলে যায় এবং বমি করে সঙ্গাহীন হয়ে পরে। গুরুতর সঙ্গাহীন অবস্থায়
তাজুল ইসলামকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে ১১ দিন পর
২৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন
করেন।
সরে জমিনে গেলে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের কাছে
আইনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাসুদের দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন।