চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুসহ ২জন মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ের কীর্তনখোলা গ্রামে আলিফা (৩) ও গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা গ্রামে মো. দুলাল হোসেন (৫০) মারা যান। মারা যাওয়া শিশু আলিফা কীর্ত্তনখোলা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও দুলাল হোসেন কাকৈরতলা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ ড্রাইভারের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা তিনটার দিকে নিজ বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান মো. দুলাল হোসেন। কিন্তু ঘন্টাখানেক সময় পার হলেও তিনি ফিরে না আসায় পরিবার ও বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে বের হন। এরপর পুকুরের ঘাটলার নিচ থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার হয়।
নিহতের পরিবার ও বাড়ির লোকজন জানান, দুলাল হোসেন মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি প্রায় সময় মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে যেখানে-সেখানে অচেতন হয়ে পড়তেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গোসল করতে পুকুরে নেমে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে পানিতে তলিয়ে যান। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় মেম্বার (ইউপি সদস্য) মো. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, দুলাল হোসেন মৃগী রোগী ছিলেন।
গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল বলেন, মেম্বার, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি দুলাল হোসেন মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে আলিফার বাবা আলী হোসেন জানান, এ দিন বিকালে নিজ বাড়ির উঠানেই খেলাধূলা করছিলো শিশু আলিফা। এরপর বেশ কিছুক্ষন দেখতে না পেয়ে পরিবার ও বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে বাড়ির পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি খেলাধূলার ফাঁকে পুকুরের ঘাটলায় গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এ দিকে শিশুটির মৃত্যুতে পরিবার ও বাড়ির লোকজনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।