পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে হাজীগঞ্জের ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের কাঁকৈরতলা উত্তর পাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাদ আছর থেকে শুরু হওয়া এই ওয়াজ মাহফিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলে, যেখানে এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য ও ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক নেছার আহম্মদ চৌধুরী। মাহফিল পরিচালনা করেন কাঁকৈরতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি ফয়সাল আহমদ আল হোসাইনী।
মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন একরামপুর বন্দর বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মুফতি সিরাজুল ইসলাম কুদরতি। তিনি তাঁর বয়ানে ইসলামের শান্তির বার্তা, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি, বর্তমান সমাজে ইসলামবিরোধী চক্রান্ত ও তার প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করেন।
মাহফিলে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শাহে মদিনা মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচাল মুফতি মোহাম্মদ জুনায়েদ সিদ্দিকী আত-তাহেরী। এছাড়াও, শাহাপুর দরবার শরীফের শায়ের মাওলানা আহসান উল্লাহ আল কাদেরী শাহাপুরী বিশেষ বয়ান পেশ করেন। উভয় বক্তাই ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন এবং নবীজির সুন্নাহ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতিত্বকারী নেছার আহম্মদ চৌধুরী বলেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা ধর্ম নিয়ে বিশৃঙ্খলা করে তারা ইসলাম ও জাতির শত্রু। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সারা জীবন কাজ করেছি এবং এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আমি শুধু মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া চাই।”
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এই মাহফিলটি এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।