পরিবেশবান্ধব জিগজাগ ইটভাটার স্বীকৃতি, হয়রানি বন্ধ ও নীতিমালার সংস্কারের দাবিতে শাহরাস্তিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ইটভাটা মালিকরা। বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা শাখার সভাপতি, মদিনা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী ও কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজীর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা উপজেলা পরিষদের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন।
পরে ইউএনওর মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ইটভাটা মালিকদের দাবিসমূহ:
১.বৈধ জিগজাগ ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স নবায়নে জটিলতা দূর করা।
২.জিগজাগ ইটভাটার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধ করা।
৩. পরিবেশবান্ধব ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা।
৪. ক্ষতিপূরণ ছাড়া কোনো ইটভাটা বন্ধ না করা।
৫. ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ অন্যান্য লাইসেন্স সহজ করা।
৬. মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করা।
৭. ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘমেয়াদী ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করা।
বক্তারা বলেন, জিগজাগ ইটভাটা প্রযুক্তির মাধ্যমে ইট উৎপাদন পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি-সাশসী হয়েছে। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে বৈধ ভাটাগুলোর ওপর প্রশাসনিক চাপ বাড়ানো হচ্ছে, যা শিল্পের টিকে থাকার জন্য হুমকি। তারা আরও জানান, দেশে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ইটভাটা বন্ধ হলে এই বিপুল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়বে, যা
সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ইটভাটা বন্ধ হলে এই বিপুল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়বে, যা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির শাহরাস্তি উপজেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সদস্য আলহাজ্ব ফারুক হোসেন মিয়াজি বলেন, “আমরা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি অনুসরণ করছি, সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাই না। তবে অন্যায্যভাবে হয়রানি চলতে থাকলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।”
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, “সরকারের গৃহীত নীতিমালার আলোকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের দাবিসমূহ পাঠানো হবে।”
ইটভাটা মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না হলে আগামী ১১ মার্চ দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান এবং ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি পালন করা হবে
এ কর্মসূচিতে শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।