ঘটনার বিবরনে জানাযায়, উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব রাজারগাঁও কবিরাজ বাড়ী মৃত আ. হাকিমের এক ছেলে মফিজুল ইসলাম ও তিন মেয়ে ছলেমা খাতুন, মাজুদা বেগম, রুপিয়া বেগম। তাদের মধ্যে ছেলে মফিজুল ইসলাম ও বড় মেয়ে মৃত ছলেমা খাতুন মারা গেলে তাদের সন্তানদের মধ্যে ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
মৃত মফিজুল ইসলামের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। তাদের ফুফু মাজুদা বেগম ও রুপিয়া বেগমের অংশ মফিজুল ইসলামের ৩ ছেলে মো. শাহআলম, আনোয়ার হোসেন ও আহমেদ উল্যা হিসা অনুযায়ী মোট ২৬ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেছে।
তাদের বড় ফুফু মৃত ছলেমা খাতুনের ছেলে আবু তাহের (৭০) গং তাদের মায়ের ওয়ারিশ সম্পত্তি মামাতো ভাইদের কাছে বিক্রি না করে বেশী দামে একই বাড়ীর মৃত ইব্রাহীম এর ছেলে মনির হোসেন গংদের কাছে রাজারগাঁও বিএস ১২২৮৭ দাগে ৪ শতাংশ ভূমি বিক্রি করে দেন।
এই দাগে মূলত ফুফাতো ভাই আবু তাহের গংরা মাত্র ২৯ প্রয়েন্ট পায়, অথচ বিক্রি করেছে ৪ শতাংশ ভূমি। এছাড়া জোরপূর্বক তারা আরো সম্পত্তি বিক্রির পায়তারা স্থানীয় মেম্বার আলমগীর কাজীসহ প্রশাসনিক হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর বুধবার রাত ১ টার দিকে কবিরাজ বাড়ীর মৃত ইব্রাহীম এর ছেলে মনির হোসেন ও স্থানীয় মেম্বার আলমগীর কাজীর সহযোগিতা পুলিশ নিয়ে মৃত মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে প্রবাসী আহমেদ উল্ল্যার ঘরে প্রবেশ করে তাকে জেলে প্রেরন করে।
প্রবাসী আহমেদ উল্ল্যা জামিনে মুক্তি পেয়ে অভিযোগ করে বলেন, সেই দিন রাতে ওয়ারিশ সম্পত্তি ক্রয়করা মনির হোসেন গংরা আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ার পর স্থানীয় মেম্বার আলমগীর হোসেনের সহযোগিতা এমন কান্ড ঘটিয়েছে। আহমেদ উল্ল্যার স্ত্রী জান্নাত বেগম বলেন, সেই রাতে আমাদের ঘর বাড়ী ভাংচুর করে ঘরে থাকা ৪ ভরি স্বর্ণ ও এক লক্ষ টাকা তারা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাড়ীর ফাতেমা বেগম, মালেক, মোজাম্মেল, রাহেলা, কুলসুম ও পিংকি বলেন, আমরা গভীর রাতে চিৎকার শুনে সামনে গিয়ে দেখি পুলিশ। আমরা কিছু জানতে চাইলে পুলিশ ঘরে ফিরে যেতে বলেন।
রোকেয়া বেগমের ছেলে ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের পাওনা ওয়ারিশ সম্পত্তি মামাতো ভাইদের কাছে বিক্রয় করেছি। কিন্তু বড় খালাতো ভাই আবু তাহের বেশী দামে প্রতিপক্ষ মনির হোসেন গংদের কাছে বেশী দামে অতিরিক্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ঝামেলা লাগিয়েছে।
প্রতিপক্ষ মনির হোসেনের মা বলেন, আমার ছেলেরা তাদের ওয়ারিশদের সম্পত্তি ক্রয় করেছে এটা কি কোন ভুল করেছে। আমরা আইনগত পক্রিয়ায় বিরোধ নিস্পক্তির জন্য চেষ্টায় আছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার এস আই প্রভাকর বড়ুয়া বলেন, আমরা কোটের নির্দশনা ওয়ারেন্ট আসামী আহমেদ উল্ল্যাহকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছি, এর বাহিরে কিছু ঘটছে কিনা তা জানা নেই।
১নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী মিয়া বলেন, উভয় পক্ষের কেউ আমাকে কোন বিষয়ে অবহিত করেনি।