মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
চাঁদপুরের ৮টি উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সকে ‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারাদেশে প্রতিটি জেলায় একটি করে মোট ৬৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণার অংশ হিসাবে ‘হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ জেলার মডেল হিসাবে মনোনিত হয়।
সেবাদান কার্যক্রমে দেশের মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসাবে গত ১৭ অক্টোবর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ দেশে ৬৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল স্বাস্থ্য মনোনীত করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ঘোষণার পর থেকেই আনন্দে ভাসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সেবার মধ্যে এএনসি ও পিএনসি সেবা, নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান কার্যক্রম সেবা, প্যাথলজিক্যাল সেবা, আউটডোর ও ইনডোর সেবা, এনসিডিসি সেবা, সর্বপরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মদতা, কাজের গুণগত মান পর্যবেণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে ‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ হিসেবে ঘোষণা করে।
জানা গেছে, প্রতিমাসে গড়ে ১৪ থেকে ১৮ হাজার রোগি চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে উপজেলার ৪ লাখ মানুষের পাশপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণকে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের মধ্যে হাসপাতালটিতে গড়ে নিয়মিত ৫০-৭০ জন রোগী ভর্তি থাকে। আর প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৫০০ রোগী একং জরুরি বিভাগে ৫০-৭০ জন রোগি চিকিৎসা সেবা নেন। এছাড়াও এনসিডিসি কর্ণার চালু হওয়ায় ডায়াবেটিক, কিডনি, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগিদের ভিড় বাড়ছে।
এসব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত চলছে এএনসি ও পিএনসি সেবা, নরমাল ডেলিভারি, প্যাথলজিক্যাল সেবা, আউটডোর ও ইনডোর সেবা, এনসিডিসি সেবা কার্যক্রম। যার ফলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের পরেই হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান।
‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ এর বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা জানান, এই অর্জনের সুবিধা ভবিষ্যতে উপজেলাবাসীসহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ভোগ করতে পারবে। আর এই সুবিধা পেতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সবাই মিলে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌছে যাবে। যা কমিউনিটি কিনিকের মাধ্যমে অনেকটা এগিয়েছে। এখন মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে আমরা আরো বেশি এগিয়ে যাবো।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ, টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, এমটি ইপিআই, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিসংখ্যানবীদ, স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপিসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা।