জহিরুল ইসলাম জয় :
চৌচালা একটি টিনের ঘর। সাদা-আকাশি রঙে রাঙানো। এক পাশে ফুটবল তারকা মেসির ছবি। অন্য পাশে জাতীয় পতাকা এবং নিজের আঁকা ছবি টাঙানো। ঘরটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বাসিন্দা ফুটবল দল আর্জেন্টিনার সমর্থক আবদুর রহমান ভান্টির। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে তার ঘর। তার ঘর দেখতে এখন শত শত লোক ভিড় জমাচ্ছে।
উপজেলার ঘনিয়া গ্রামের বাচ্চু বেপারির ছেলে আর্জেন্টিনার ভক্ত আবদুর রহমান ভান্টি পেশায় রংমিস্ত্রি। নিজের বাড়ি আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রং করা এবং ফুটবল সুপারস্টার মেসির ছবি এঁকে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন তিনি। বাড়িটি এখন আর্জেন্টিনার বাড়ি বলে পরিচিত।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে ফুটবলপ্রেমী আবদুর রহমান ভান্টি মেজ। তিনি মানুরী ফাজিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করেন। প্রবল ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের দৈন্যদশার কারণে পড়াশোনায় এগোতে পারেননি। পরিবারের হাল ধরতে রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। উপার্জন থেকে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে নিজের টিনশেড বাড়িকে রাঙিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে। যার মাঝখানে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা, ফুটবল তারকা মেসি ও তার নিজের ছবি। আর্জেন্টিনা দলকে শুধু ভালোবেসে ঘরের রং করেছেন এমন নয়, আর্জেন্টিনার খেলার দিন এলাকার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজনের পরিকল্পনাও ভান্টির।
ফুটবলপ্রেমী আবদুর রহমান ভান্টি বলেন, ‘ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনার নাম বাবার মুখে শুনেছি। সে থেকেই অনলাইনে নিয়মিত ম্যারাডোনার পুরোনো খেলাগুলো দেখি এবং আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়ে পড়ি। বেশি ভালোবাসি আর্জেন্টিনা তারকা ফুটবলার মেসিকে। তার ভালোবাসা থেকেই নিজে কাজ করে কিছু কিছু টাকা জমিয়ে আমাদের বাসরত টিনের ঘর করে আর্জেন্টিনা পতাকার আদলে রং করেছি। গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান পাটওয়ারী বলেন, ‘আমি জেনেছি ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঘনিয়া গ্রামে একটি ঘর আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙানো হয়েছে। আমি সেই ঘর দেখতে যাব।