ফাহাদ খাঁন:
ফরিদগঞ্জে টেন্ডারকৃত সড়কের কাজ না করে অন্য স্থানে কাজ করা অভিযোগ
উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাতে বড় ধরনের সংর্ঘষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
একটি মহলের ক্ষমতার ছোবলে পরে রাস্তা পরিবর্তিত হয়েছে জানাগেছে। এক
সড়কের বরাদ্দ অন্য সড়কে করি নিতে চায় ঐ চক্রটি। এতে সৃষ্টি দু’টি
সড়কের চলাচলকারীদের বিরোধ। দ্রæত বিরোধ সমাধানের দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে কি ভাবে এক সড়কের টেন্ডারকৃত কাজ অন্য সড়কের করে ঠিকাদার
প্রতিষ্ঠান তা আবার এলজিইডির অনুমতি নিয়ে এমন প্রশ্ন সচেতন
নাগরিকদের। এই ঘটনায় ২৬শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার এলাকাবাসি এক
হয়ে মানববন্ধন করেন। ঘটনাটি উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের হর্নি
দূর্গাপুর গ্রামে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নের
গ্রামীন-বি সড়ক কালিবাজার পাকা সড়ক থেকে মদিনা বাজার পাকা সড়ক
হইতে শুরু করে হর্নি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে সন্তোষপুর বেইলী
ব্রিজ পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা। যেই সড়কের ১৫০০মিটার এর আইডি-
৪১৩৪৫৫২১৩ সড়কের মধ্যে ১০০০ মিটার সড়কের নির্মানের জন্য ৮২,২০,৬২০
টাকা ব্যায়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সড়কটি নির্মানের জন্য
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত কয়েকদিন পূর্বে সড়কের কাজ শুরু করেন। এসময়
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ৪০০ মিটার সড়কের কাজ খননের পর তা বন্ধ করে
৪১৩৪৫৫২১৫ আইডি নামে সড়কের কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে শুরু হয় দুই
রাস্তার মানুষের মাঝে বিরোধ। উক্ত ঘটনায় সঠিক আইডির রাস্তায় কাজ করার
জন্য করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এসময় তারা দাবি
জানিয়ে বলেন, কোন প্রকার অপশক্তির প্রভাবে তাদের সড়কের কাজ যাতে অন্য
কোন রাস্তায় না হয় সেই জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন
তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজান, তাজল ইসলাম ও সোনিয়া বলেন, বহুবছর ধরে
সড়কটি কাঁচা থাকায় স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের চলাচলে
মারাত্বক দূর্ভোগ পোহাতে হতো। বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহদোয়ের দৃষ্টি
গোচর হলে তার সুপারিশে সড়কের কাজের অনুমোতি মিলে। কিন্তু একটি
অসাধু চক্র তাদেও ব্যক্তিগত সুবিদার লোভে গণমানুষের অসুবিদা সৃষ্টি
করছে। আমরা চাই মহদোয়ের সম্মান রেখে গণমানুষের চলাচলের জন্য এই
সড়কটি যেনো দ্রæত সমাধান করে সংশ্লিষ্ট মহল।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমান আজাদ বলেন, আমাকে উপজেলা
এলজিইডির অফিস যেই ভাবে বলবে আমি সেই ভাবে করবো। যেই রাস্তা
কাজ আমি পেয়েছি সেই রাস্তায় কাজ করতেছি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ’র কাছে বিষয়টি জানতে গেলে
এ বিষয়টি তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
চাঁদপুর জেলা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ফুহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি
আমরা অবগত হয়েছি। সজেমিন তদন্ত করে এসেছি। সড়কটি যেই
আইডিতে হওয়ার কথা সেই আইডিতে নেই। ঠিকাদার যে সড়কের কাজ
করছে সেই সড়কটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। এটা
অনুমোদন হয়ে আসলে দু’টি সড়কের কাজ এক সাথে করবো।