চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আল-মদিনা হাসপাতালের বিরোদ্ধে ভুল
চিকিৎসার কারনে নবজাতকের মৃত্যু ঘটনা ঘটে মা
আশষ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনার
বিচারনা পেয়ে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন
ভুক্তভোগি পরিবার। এদিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নিচ্ছে
নবজাতকের মা ইতি।
ঘটনার সূত্রে ও অভিযোগের বৃত্তিতে জানাযায়, গত ১লা জুলাই
ইতির প্রসব ব্যাথা দেখা দিলে পরিবারের লোকজন ও হাসপাতালের
পরিচালক মাহাবুব এলাহির স্ত্রী হাবিবা আক্তার তিনি ইতিকে
তার বাসায় নিয়ে যায়,নরমাল ডেলিভারি করার জন্য।এসময় ইতির
প্রসব ব্যাথা বেশি দেখা নিলে দ্রæত আলমদিনা হাসপাতালে
নিয়ে যায়। হাসপাতালে হাবিবা ও নার্স শিখা আক্তার আল্ট্রকরার
জন্য আল্ট্রারুমে নিয়ে যায় তাকে। সেইখানে তারা ইতির
বাচ্চা প্রসব করান। বাচ্চা প্রসবের পর বাচ্চা অবস্থা খারাপ দেখে
তাকে চাঁদপুরে বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলে। এদিকে ইতির রক্তক্ষরণ বন্ধকরতে না পেরে তাকে ও হাসপাতাল থেকে বের করে দেন বলে
অভিযোগ করেন।পরিবারের লোকজন বাচ্চা ও রুগির অবস্থা খারাপ
দেখে তারা দ্রæত চাঁদপুরের নিয়ে যায়। সেই খানে বাচ্চাকে
ডা. সুজিতকুমারকে দেখান। বাচ্চার পরিক্ষা নিরেক্ষ করে দেখে
বাচ্চার বুকের হাড় ভেঙ্গে গেছে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ
দেন তিনি। এসময় ইতি কে চাঁদপুর সদর হাসপাতালেনিলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তারা অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকায়
পাঠিয়ে দেন।প্রতিপথে রুগিরঅবস্থাখারাপ দেখলে
তারা কুমিল্লা একটি হাসপাতালে নিলে সেই খানে
প্রাথমিকচিকিৎসা করে তাকে ঢাকায় পপুলার মেডিক্যালকলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করান। সেই খানে বাচ্চা ও মা ইতি কে আই
সিও তে রাখলে কিছুক্ষন পরে বাচ্চা টি মারা যায়।
এদিকে ইতিকে দ্রæতঅপারেশননা করলে তাকে ও বাঁচানো সম্বাবনা বলে যা নিয়ে দেন ডাক্তার। পরে রাতেই ইতিকে অপারেশন করে
আইসিওতে নিয়ে যায়।
এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। উক্ত বিষয়ে আল-মদিনা হাসপাতালের বিরোদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর
৩১ শে জুলাই লিখিত অভিযোগ করেন ইতির মাআমেনা বেগম। ইতির মাআমেনা বেগমবলেন,আমার মেয়ে মৃত্যুর সাথে
পাঞ্জালড়ছে। তারা ডাক্তার দিয়ে প্রসব না করে নিজেরা প্রসব করাতে গিয়ে আমার নাতীন কে মেরে পেলেছে। আমার মেয়ের
পেটের বিতরে মাতৃফুল রেখে দেওয়ার করানে তার রক্তখরন বন্ধহয়নি।
এটা কিসের হাসপাতাল যেই খানে ভুল চিকিৎসার কারনে আমার মেয়েমৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছে। আমি এর বিচার চাই।
আলমদিনা হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবএলাহীবলেন, আমাদের এই হাসপাতালে রুগিদের ক্ষতি হোক এমন কোন কাজ আমরা
করি না। রুগির অবস্থাখারাপ দেখে আমরা তাকে চাঁদপুরেরপাঠিয়ে দেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশ্রাফ আহাম্মেদ বলেন, সিভিল সার্জন অফিসের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তিন সদস্য একটি কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত করে পরে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।