চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের ডেঙ্গুর বাড়ির অটোরিকশা চালক নিরীহ হারুনুর রশিদ এর বাড়ির বসত ঘরে যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই বাড়ির প্রভাবশালী মহিলা গং দের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ দিন যাবত অবরুদ্ধ থাকায় ৫ সদস্যের পরিবারটি বিকল্প পথে ঝোপঝাড়ের ভিতর দিয়ে চলাচল করছেন। পথ অবরুদ্ধ করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিগত ১৮ /৮/২৩ ইং তারিখে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী অটো চালক হারুন অর রশিদ। বর্তমানে পুরো পরিবারটি নিরাপত্তার অভাগে ভুগছে।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গাজিপুর বেপারী বাড়ি (ডেঙ্গুর বাড়ি) অটো রিকশা চালক হারুনুর রশিদ (৪৫) এর বসতঘর বাড়ির ভিতরে হওয়ায় তারই অংশীদার জরিনা বেগম গং দের বসত ঘর সামনে হওয়ায় আধিপত্য খাটিয়ে হারুনুর রশিদের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ জানান জরিনা বেগম গংরা এবং আমরা চাচাতো ভাই বোন। বাপ দাদার আমল থেকে আমাদের ঘরে যাওয়ার যাতায়াতের পথ থাকলেও বিগত বছরখানেক পূর্বে জরিনা বেগমরা আমার বসত করে যাওয়ার চলাচলের পথ আটকে দেয়। আমি নিজে এবং বিভিন্ন মারফতে তাদেরকে পথ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করলেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি বরং বিগত ১৮ই আগস্ট এই নিয়ে বাক বিতর্কের এক পর্যায়ে তারা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মাছধর করে রক্তাক্ত রকম করে। এই নিয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ জরিনা বেগমকে ধরে নিয়ে কোর্টে সালাম করে দিলে আদালত জরিনা বেগমকে জেলা জুতা ফেরন করেন। জরিনা বেগম কয়েকদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে এসে পূর্বের ন্যায় আমার উপর জুলুম নির্যাতন করে চলছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি জরিনা বেগম গং দের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে জরিনা বেগম বলেন আমি হারুনদের পথ আটকাইনি সে আমার ঘরের উত্তর দিয়ে চলাচল করতো কিন্তু কিছুদিন আগে বাড়ির অন্য শরীকদাদের আমাদের শরিকদার থেকে জাগা পাওনা হওয়ার কারণে তাদেরকে ওই পথ সহ জমিবুঝ দেওয়া হয়। হারুন সহ আমরা তিন শরিকদার আমরা কেন এককভাবে তাদেরকে পথ দেব।হারুন আমাকে জেল খাটিয়েছে। আমি তাকে পথ দেব না। হারুন এর সাথে আমরা আইনগতভাবে বোঝাপড়া করব।