চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ‘মেঘনা ধনাগোদা সেচ
প্রকল্প’র আওতায় আবাদি মাঠগুলো সবুজে ভরে উঠেছে। মাঠজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু আমনের
সবুজ ধানক্ষেত। এ অঞ্চলে এবার আমনের ফলন ভালো হওয়ার আশা কৃষকদের। এখন কৃষকেরা আমান
ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা সহ কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধানের বাড়ন্ত দেখে কৃষকেরা মনের
আনন্দে ধান খেতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বর্তমানে আমন ধানের গাছগুলোতে শীষ বের হচ্ছে।
কিছুদন পরই ধানক্ষেতগুলো শীষে ভরে যাবে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের আওতার কৃষকরা বলছেন এ বছর আবহাওয়া শেষ মুহূর্তে এসে
অনুক‚লে রয়েছে। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। রোদও
পাওয়া যাচ্ছে। তাই ধানের ফলন ভালো হবে। যদিও ধান ক্ষেতে কীট-পতঙ্গের আক্রমণ কিছুটা
বেড়েছে। সার কীটনাশক, শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমন আবাদে খরচের পরিমানও
বেড়েছে।
কৃষক মজিবুর রহমান ও সবুজ মিয়া জানান, আমরা কৃষক মানুষ। খাবারের জন্য কিছু ধান জমা
রাখতে হয়। ধানের দাম ভালো পেলে কিছু ধান বিক্রি করে সারাবছরের কেনা কাটা, বাচ্চাদের
লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হয়।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ বলছে, এবার আমন ধান উৎপাদনে ৮ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে
রোপা আমন ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে অর্জন ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর হয়েছে করা
হয়েছে। এ বছর অনুক‚লে থাকায় রোগ বালাই কম থাকায় আশা করছি আমনের বাম্পার ফলনের
সম্ভাবনা রয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলে আমন ধানের ক্ষেত সবুজে ভরে
গেছে। এবছর আবহাওয়া অনুক‚লে রয়েছে। আমনের আবাদ ভালো হবে, আশা করছি ধানের দামও
ভালো পাবেন কৃষকেরা।
সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমানে রোপা আমন ধানের
ক্ষেত সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, প্রাকৃতিক বৈরিতার কবলে না পড়লে
এবং ঠিকমতো সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারলে লাভবান হবে মতলব উত্তরের মেঘনা ধনাগোদা সেচ
প্রকল্পের কৃষকরা। তাইতো নতুন ধানে সোনালী স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার কৃষকরা। ইতিমধ্যে
উপজেলায় শতভাগ রোপা আমন রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৮ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে রোপা
আমন ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে অর্জন ৮ হাজার ৪৫ হেক্টর হয়েছে করা হয়েছে।
আশা করছি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে।
তিনি আরো বলেন, ফলন যাতে ভালো হয়, এই জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা
নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।