আলোকিত এবং অনুকরণীয় হাজীগঞ্জ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে, হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে হাজীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরণে লেখা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকালে বিজনেস পার্ক হযরত মকিমউদ্দিন (রহ.) শপিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।
এ সময় ব্যারিস্টার শাহরিয়ার আহমেদ ফোরামের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের জন্য থাকছে পুরস্কার নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ। এছাড়া সেরাদের সেরা মানের চিত্রাঙ্কন এবং লিখাগুলোকে লেখকের নাম ও ঠিকানসহ প্রস্তাবিত ‘হাজীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধি’র বইতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চেয়ে ড. মো. আলমগীরক কবির পাটওয়ারী বলেন, নতুন ও আগামি প্রজন্মের মাঝে হাজীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে ‘হাজীগঞ্জ ফোরাম’। একই সাথে যারা এই কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং করবেন তাদের নাম প্রকাশিতব্য বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
প্রতিযোগীতার বিষয় হচ্ছে, প্রবন্ধ, কবিতা/ছড়া, থিম সং, লোকগীতি, গল্প, নাটক এবং চিত্রাঙ্কন। প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের ‘ক, খ, গ, ঘ, ঙ’ এই পাঁচটি বিভাগে পুরষ্কৃত করা হবে। আগামি ৮ নভেম্বরের মধ্যে লেখা ও চিত্রাঙ্কন জমা দিতে হবে।
‘ক’ (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ও সমমান), ‘খ’ (নবম ও দশম ও সমমান) ও ‘গ’ (একাদশ, দ্বাদশ ও সমমান) বিভাগের প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে, কবিতা, ছড়া ও চিত্রাঙ্কন। প্রবন্ধ কমপে ১২০০ শব্দ হতে হবে। ‘ঘ’ বিভাগ উচ্চ শিা (ডিগ্রী, অর্নাস, মাস্টার্স ও সমমান) বিভাগে কবিতা ছড়া, চিত্রাঙ্কন ও প্রবন্ধ। প্রবন্ধ কমপে ১৫০০ শব্দ হতে হবে, ‘ঙ’ উন্মুক্ত (শিার্থী নয় এমন সকলের জন্য প্রযোজ্য) বিভাগে কবিতা, ছড়া, চিত্রাঙ্কন, প্রবন্ধ (কমপে ১৮০০ শব্দে), গল্প, নাটক, লোকগীতি, থিম সং (ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে)।
প্রতিযোগিতার বিষয় সমূহ, ১. মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ এর ব্র্যান্ড, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হাজীগঞ্জ নামকরণের ইতিহাস- কবিতা /ছড়া, থিম সং (ধর্মীয় চেতনা যুক্ত), (বড় মসজিদ বা বাজার কেন্দ্রীক) হাজীগঞ্জ এর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের ভূমিকা, অন্যান্য যে কোন ঐতিহ্যবাহী স্থান ও স্থাপনা (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, পুকুর-দিঘী, খাল-বিল, নদী-নালা ইত্যাদি, হাজীগঞ্জ বাজারের (মকিমাবাদ ও তার পাশর্^বর্তী এলাকাসহ কমপে গত ৪০-৪৫ বছরের) ভূ-প্রকৃতির পরিবর্তন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা (বর্তমান পর্যন্ত)।
২. সূচনা থেকে বর্তমান, হাজীগঞ্জ সাব-রেজেস্ট্রি অফিস, তহসিল অফিস, পোস্ট অফিস, ডাকবাংলো, থানা, পৌরসভা ও উপজেলা। ৩. হাজীগঞ্জ এর শিা ব্যবস্থার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, বিভিন্ন সমিতি-সংঘ, কাব, সফল ব্যবসায়ী, ব্যবসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ক্রীড়া েেত্র অতীত ও বর্তমান, উৎপাদিত ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য, গ্রামীণ ঐতিহ্যে ঋতু ভিত্তিক খাদ্য তৈরি, জীবনাচার, কৃষ্টি, জনজীবন ও খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যটন েেত্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা।
৪. হাজীগঞ্জ উপজেলাস্থ বিভিন্ন পর্যায়ের সফল শিক, গুণী ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব, নিবেদিত প্রাণ স্বনামধন্য জনপ্রতিনিধি (সাবেক ও বর্তমান)। উল্লেখিত বিষয়ের প্রতিযোগিদের মধ্যে যারা বিজয়ী হবেন, তাদেরকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনদ, ক্রেস্ট এবং অর্থ পুরুষ্কার প্রদান করা হবে। প্রতিটি বিভাগে বিষয় অনুযায়ী থাকবে আলাদা আলাদা পুরষ্কার হচ্ছে।
এর মধ্যে প্রবন্ধে ৩ বিভাগে ৯ জন, কবিতা/ছড়া ৫ বিভাগে ১৫ জন, থিম সং প্রতি বিভাগে ১ জন করে ৩ জন, লোক সংগীত প্রতি বিভাগে ১ জন করে ৩ জন, গল্প/নাটক ২ বিভাগে ১২ জন ও চিত্রাঙ্কনে ৫ বিভাগে ১৫ জনসহ মোট ৫৭ জনকে পুরস্কৃতসহ সেরাদের সেরা মানের চিত্রাঙ্কন এবং লিখাগুলোকে লেখকের নাম ও ঠিকানসহ প্রস্তাবিত ‘হাজীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধি’র বইতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।