দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক সিআইপি জালাল আহমেদ জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী মনে করছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন সিআইপি জালাল আহমেদ। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে দলমত নির্বিশেষে সকলের ভোটও পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সাধারণ জনগণ।
পারিবারিক সূত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে একাত্মতা পোষণ করে দীর্ঘসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে কাতারে অবস্থানকরতঃ তিনি কাতারস্থ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া যুক্ত রয়েছেন দলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে। তাছাড়া বিগত জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের সময় দেশে অবস্থান করে নিজ নির্বাচনীয় আসন চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে পৃষ্ঠপোষকতাসহ সরাসরি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে জড়িত থেকেছেন। নির্বাচনের সময় দলীয় প্রয়োজনে দলের দুঃসময়ে প্রার্থীর হয়ে কর্মীদের সঙ্গে নেপথ্যে কাজ করেছেন। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করেছেন। এই হিসেবে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে বেশ পরিচিত একজন আওয়ামী রাজনীতিবিদ।
রাজনীতি করতে এসে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন নানাভাবে। একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে অর্জন করেছেন বহু সম্মাননা। জাতীয়ভাবে অর্জন করেছেন সিআইপি পদমর্যাদা। তিনি কাতারস্থ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া দেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন অনেক অসহায় গরীব দুঃখীর। ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে ছোট ছোট পরিসরে ক্রমান্বয়ে নিজের সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়। ভবিষ্যতে ফরিদগঞ্জের উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ পেলে তিনি এই সহযোগিতার হাতকে বেগবান করবেন বলে জনগণের সাথে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।
বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি জালাল আহমেদ তার নির্বাচনী অঞ্চল ফরিদগঞ্জকে নিয়ে বেশ ভাবেন। তিনি পরিকল্পনা করেছেন যে, ফরিদগঞ্জকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করবেন। এই পরিকল্পনার আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। বিগত ২০০০ সাল থেকে আজ অবধি চলছে তার এই কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ১৮০০ জন অসহায় মেয়ের বিয়েতে নগদ অর্থ প্রদান করা, ৩০০টি মসজিদে আর্থিক অনুদান প্রদান, অসহায় মানুষের মাঝে ১৮০০ বান্ডেল ঢেউটিন, ৩০০টি রিকশা, ৩৫টি অটোরিকশা ও সিএনজি, ব্যক্তিগত অর্থায়নে দুজন গৃহহীন মানুষকে জমি প্রদান, নিজ অর্থায়নে কাঁচা-পাকা মোট ৩৬০টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীন মানুষকে প্রদান, সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে ‘মনোয়ারা আবদুর রশিদ এতিমখানা’ পরিচালনা করা, ১৬০০ জন অসহায় রোগীর চিকিৎসাসেবায় নগদ অর্থ প্রদান, প্রতিবছর রমজান উপলক্ষে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের পোশাক ও নগদ অর্থ প্রদান, বিনাখরচে দেশ থেকে প্রবাসে এনে তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন মার্বেল টাইলস কোম্পানিতে মোট ৫০০ জন লোকের চাকরির ব্যবস্থা করা এবং বাংলাদেশে কাতার মার্বেল ফ্যাক্টরি, মংলা ইপিজেড বাগেরহাটে ৩০০ জন শ্রমিককে কর্মস্থলের ব্যবস্থা করাসহ নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছেন।
করোনাকালীন দুঃসময়েও সিআইপি জালাল আহমেদ রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে আপামর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে নীরবে-নিভৃতে তিনি তার কর্মীগণের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছিলেন খাদ্য। করোনাকালে তিনি ১৬টি ইউনিয়নে ১২৫ টন চাউল, ১৮ টন ডাল, ৯ টন লবণ, ১৮ টন তেল এবং নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। এছাড়াও কাতারে বসবাসকারী ২০০০ বাংলাদেশীর মাঝে তিনি ১ মাসের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। করোনাকালের সাহায্য-সহযোগিতার রেশ এখনও চলমান রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ নিয়ে অনেক স্বপ্ন সিআইপি জালাল আহমেদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তিনিও একজন যথার্থ সারথী হতে চাইছেন জালাল আহমেদ। তার ভবিষ্যত পরিকল্পনায় রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে অনবরত কাজ করে যাওয়া। এলাকার শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা করা। মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে আরও মেধাবী হতে প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করানোসহ নানাবিধ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদেরকে আলাদাভাবে সুনজরে রাখা, তাদের মেধাকে বিভিন্ন মাধ্যমে কাজে লাগানোর সুব্যবস্থা করা। জালাল আহমেদ চাইছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সেভাবে ওনার সাথে সাধ্যমতো সার্বিক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে যথার্থ চেষ্টা করবেন। তাছাড়া সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করাসহ ফরিদগঞ্জ আসনের আর্ত-পীড়িত মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এসব কাজকর্ম করেছেনও তিনি।
সিআইপি জালাল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জানান যে, এমপি নির্বাচিত হলে কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টিআর কাবিখা বিক্রি ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতি আকৃষ্ট না থেকে বরং সেগুলো সুষম বণ্টন করার প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টিপাতে আপ্রাণ ভূমিকা পালন করবেন। সরকারি কোষাগারের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ উপার্জন এই উপজেলার মানুষের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করবেন বলেও জানান তিনি।
ফরিদগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ সমাজসেবক পাবেল পাটওয়ারী বলেন, ফরিদগঞ্জের রাজনীতিতে যদি সৎ একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ থেকে থাকেন, তাহলে তিনি সিআইপি জালাল আহমেদ। যিনি রাজনীতিতে এসেছেন সকলকে ভালোবেসে আপন করে নিতে। এসেছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ওনার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, তিনি আপামর জনসাধারণের জন্য নিবেদিত একজন মানুষ। বিজনেসম্যানরা রাজনীতিতে এলে এটাই সুবিধা যে, তাদের অর্থনৈতিক অভাববোধ নেই। তেমনি একজন জালাল আহমেদ ভাই। আমারও স্বপ্ন আছে, যে স্বপ্নগুলি সিআইপি জালাল আহমেদের স্বপ্নের সঙ্গে মিলিয়ে-মিশিয়ে ফরিদগঞ্জকে ভিন্নরকম করে সাজাতে। আমি আশা করব, সিআইপি জালাল আহমেদ যোগ্য হিসেবে তার উপযুক্ত সম্মান পাবেন। দলনেত্রীর প্রতি আকুল আবেদন থাকল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লোকমান আহমেদ তালুকদার সিআইপি জালাল আহমেদের প্রার্থীতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বলেন, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য জালাল আহামেদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে তার জয় নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো বেগ পেতে হবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। নৌকার প্রতীক পেলে জালাল আহমেদ নিশ্চয়ই সেটির দায়িত্ব ও সম্মান রক্ষা করতে পারবেন। কারণ, লোভ-লালসাহীন একজন মানুষের পক্ষে উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম সম্পন্ন করতে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। আমি চাইব মাননীয় নেত্রী যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সিআইপি জালাল আহমেদকে বাছাই করে নেবেন। ফরিদগঞ্জে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক জনহিতকর কাজকর্ম করেছেন তিনি। ভবিষ্যতেও করতে পারবেন। তাই ওনাকে মনোনয়ন দিলে দলের ক্ষতিসাধন হবে না বোধ করছি।