জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের
মনোনীত প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে
রহিমানগর বাজারে শোডাউন ও পথসভা বের করা হয়। সোমবার (১
জানুয়ারি) বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান
শিশিরের নেতৃত্বে কচুয়ার সর্বস্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী
স্বতঃস্ফূর্তভাবে শোডাউন ও পথসভায় যোগ দেন। দীর্ঘদিন পর
রাজনৈতিক মাঠে শাহজাহান শিশিরকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মী ও
শুভকাঙ্খীরা আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় শিশির ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, শেখ হাসিনা সরকার, বার
বার দরকার, কচুয়ার মাটি শিশির ভাইয়ের ঘাঁটি, সেলিম ভাইয়ের
মার্কা নৌকা নৌকা, শিশির ভাইয়ের মার্কা নৌকা নৌকা, ৭
তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন শ্লোগানে শ্লোগানে
কচুয়ার দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র রহিমানগর বাজার মুখরিত হয়ে উঠে।
শোডাউনটি রহিমানগর উত্তর বাজার চৌরাস্তা মোড় থেকে বের
হয়ে, প্রধান সড়ক ও অলিগলিসহ সমগ্র বাজার প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায়
চৌরাস্তার মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়। নেতাকর্মীদের সরব
উপস্থিতিতে যেন নৌকার প্রচারণায় প্রাণ ফিরে পেল। নেতাকর্মীদের
মাঝে শোনা যাচ্ছিল- কচুয়ার রাজপথ কাঁপানো নেতা শাহজাহান
শিশিরই সর্বেসর্বা। শাহজাহান শিশির রাজপথে নামার ফলে যেন
নৌকা পালে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এতদিন নির্বাচনী
আমেজ লক্ষ্য করা না গেলে ও আজকের শোডাউন ও পথসভায় নেতাকর্মীদের
উপস্থিতিই প্রমান করে নির্বাচনী আমেজ বইছে। পথসভায়
শাহজাহান শিশির বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা কচুয়া আসনে ড.
সেলিম মাহমুদকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমরা
আমাদের এই কচুয়াকে সুন্দর করার লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কচুয়ার
নৌকার মাঝি ড. সেলিম মাহমুদকে আগামী ৭ জানুয়ারি বিপুল
ভোটে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবো। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,
যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে তাদের কঠোর ভাবে প্রতিহত করা
হবে। ড. মহীউদ্দীন আলমগীরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রেখে ড.
সেলিম মাহমুদ কচুয়ার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন সেই
আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.
আমিন উদ্দিন, সেলিম মিয়া, সহ-সভাপতি শাহজাহান প্রধান, সাধারণ
সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামাল
হোসেন অন্তর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার নবু,
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন
সবুজ প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ,যুবলীগ ,ছাত্রলীগ,
কৃষক লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের হাজার হাজার
নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।