বেশ কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আমাদের পেটে এসিডিটি ও আলসার তৈরি করে। আমাদের পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্তের প্রথম অংশ যেটাকে আমরা ডিওডেনাম বলি সেখানেই এই পেপটিক আলসার গুলো বেশি হয়। বিভিন্ন রকমের ওষুধেই এসব আলসার হতে পারে। যেসব ওষুধ খেলে পেটে আলসার হয় সেসব ওষুধের মধ্যে আছে
১। নন স্টেরয়েডাল এনটি ইনফ্লামেটরি ড্রাগস। বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ এই গ্রুপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত এই গ্রুপের কিছু ওষুধ আছে, যেমন ঃ ন্যাপ্রোক্সেন, কেটোরোলাক, ডাইক্লোফেনাক, এসিক্লোফেনাক এই জাতীয় ওষুধ। এগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে পেপটিক আলসার হতে পারে।
২। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ- আমাদের দেশে এইগুলি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ওষুধের মধ্যে এই উপাদান মিশিয়ে দেয়া হয়। যারা ট্রেডিশনাল চিকিৎসা করেন অর্থাৎ হোমিও, ইউনানিরা অনেক ওষুধের মধ্যে এই ওষুধ মিশিয়ে দেয় বা এটার মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় উপাদানটা দিতে হয়। এর ফলে এগুলো বেশী ব্যবহার করলে পেপটিক আলসার হতে পারে।
যে কোন ওষুধ গ্রহণের আগেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। কোন ওষুটি আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়, তা একমাত্র ডাক্তারই বলতে পারবেন। কোন ফার্মাসিস্ট বা দোকানদারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করলে তা বিপদজনক হতে পারে। অনেক ট্রেডিশনাল চিকিৎসকও আজকাল তাদের প্যাডে তাদের ডিগ্রিকে এমবিবিএস সমমান লিখে নিজেদের ওষুধ বাদ দিয়ে এলোপ্যাথির ওষুধ প্রেসক্রাইব করে, যা শুধু বিপদজনকই নয়, রুগীর প্রতিও অবিচার।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল