চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ওরশ শরীফ কে কেন্দ্র করে জুয়া, মাদকের আড্ডা, মহিলাদের দিয়ে নাচ গানের আসরে বসিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় শামীম হোসেন কাজল (৩৬) ও মোঃ মেহেদী হাসান (৩০) নামে দুই যুবকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ জানুয়ারী ছেংগারচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড জোড়খালী (ফকির বাড়ির) রিপন বেপারী (৩০), মোঃ হোসেন (৩৫), মোঃ রিয়াদ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন (৪৫) কে আসামী করে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হক ১৪৩/৩২৩/৩২৫/ ৩০৭/৫০৬ ধারায় পেনাল কোডে মামলা রুজু করেন। থানার মামলা নং ৩৬।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায় ১৮ জানুয়ারী দিবাগতরাতে ছেংগারচর পৌরসভার জোড়খালী ফকিরের মাজারের বার্ষরীক ওরশ শরীফের অনুষ্ঠন চলা কালে রিপন বেপারী, মোঃ হোসেন, মোঃ রিয়াদ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন সহ আরো কয়েক জন লোকজন দলবদ্ধ হয়ে গাঁজা সেবন করতে থাকে আর মহিলাদের কে দিয়ে নাচ গানের আসর বসিয়ে জুঁয়া ও অনৈতিক কর্মকান্ড করে। শামীম হোসেন কাজল, মোঃ মেহেদী হাসান সহ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের বলে ওরশ শরীফে এসে এস মাদক ও নারীদের দিয়ে নাচ গান না করতে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হঠাৎ করে পেছন থেকে এসে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দা, চেনী, লাঠি দিয়ে শামীম হোসেন কাজল ও মোঃ মেহেদী হাসান কে মাইরধোর ও কুপিয়ে গুরুত্ব জঘম করে। কাজল ও মেহেদীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা হাসপাতালে নিলে মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে কর্তব্যরত ডাক্তার শামীম হোসেন কাজল ও মেহেদী হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। এই ঘটনায় শামীম হোসেন কাজলের মাথায় ৮ টি সেলাই ও মেহেদী হাসান এর মাথায় ৭ টি সেলাই দিতে হয়েছে।
চিকিৎসা নিয়ে এসে ২৬ জানুয়ারি দুপুরে শামীম হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানায় ওরশ শরীফের পবিত্রতা নষ্ট করে রিপন বেপারী, মোঃ হোসেন, মোঃ রিয়াদ হোসেন, মোঃ নিজাম উদ্দিন সহ আরো কয়েক জন দলবদ্ধ হয়ে গাঁজা সেবন করতে থাকে আর মহিলাদের কে দিয়ে নাচ গান করিয়ে জুঁয়া খেলে। আমরা এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ও মেহেদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে এসে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে এলোপাতাড়ি মাইরধোর করে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ৩ ও ৪ নং আসামি জামিনে আসলেও প্রধান ২ জন আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এজাহার ভুক্ত আসামী হয়েও তারা নিজ বাড়িতে থাকে, ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজ এলাকায়ও। অথচয় মতলব উত্তর থানা থেকে মিনিট পাঁচেক দূরেই আবস্থিত এজাহার ভুক্ত আসামীদের বাড়ি। আসামীরা নিজ বাড়িতে থাকা শর্তেও আসামীদের ধরার ব্যাপারে নেই কোন পুলিশি তৎপরতা।আমি মামলার বাদী ও এলাকার লোকজন আসামীদের অবস্থান জানিয়ে পুলিশকে ধরতে বললে পুলিশ আসি, আসতেছি গাড়ি নেই বলেও গড়িমসি করতে থাকে। এদিকে আসামী পক্ষ বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা তুলার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেছে, বিভিন্ন হুমকি থামকি দিয়ে আসছে। আমরা আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই। তাদের বিচার চাই।