নিহত সেলিমের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানের চারা রোপনের সময় কবিরাজ বাড়ির জাহাঙ্গীরের সাথে একই গ্রামের কাজী বাড়ির আজিজ কাজীর সাথে বিবাদের এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সন্ধ্যায় আজিজের বড় ভাই চাঁন মিয়ার সাথে জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ও সেলিমের ছেলের সাথে মারামারি হয়। বিষয়টি জানার পর ইউপি সদস্য সমাধানের উদ্যোগ নেন।
এরপর শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় মসজিদ মাঠে জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন আজিজ কাজীর চাচা আকবর কাজীসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন। এসময় স্থানীয়রা ও সেলিমের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেলিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন এবং সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ দিকে সেলিম হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত আকবর কাজীসহ তাদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এসময় ঘটনাস্থল ও কাজী বাড়িতে অভিযুক্তসহ তাদের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় এবং আকবর কাজীর মুঠোফোন নম্বরটি (০১৭৯৩-১১৬৪০৫) বন্ধ থাকায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত সেলিমের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন মৎস্যজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীর জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে আকবার কাজী ও আজিজ কাজীসহ তাদের পরিবারের সকল সদস্য ও ভাড়াকরা লোকজনকে নিয়ে অতর্কিত হামলার পর পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ ওই তুচ্ছ ঘটনার সাথে তার ভাই সেলিম জড়িত ছিলেন না বলে তিনি জানান।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবার, ওই বাড়ির লোকজন, স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। পরে নিহত সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সেলিম হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।