মনিরুল ইসলাম মনিরঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সেচখাল ও নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ সংলগ্ন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ৬৫ কিলোমিটার এলাকা হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উদমদী পাম্প হাউজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্যাহ, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন উপস্থিত থেকে অর্ধ শতাধিক শ্রমিকসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উচ্ছেদ পরিচালনার সময় অনেকেই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। আবার অনেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম দেখে দ্রুত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালপত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের পাশে ১২৫ জন বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদের প্রত্যেককে নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তারা ব্যবসা বন্ধ করেনি। যে কারেণে তাদের ব্যবসা কেন্দ্রে আজকে লাল পতাকা টানিয়ে ব্যবসা পরিচালনা নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সেচ প্রকল্পের ৬০ কিলোমিটার বাঁধের ৫ কিলোমিটার করে প্রতিদিন উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে। ভেক্যু দিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদের পূর্বে অবৈধ দখলে থাকা ২ হাজার ৩শ’ ৫০ জনকে নোটিশ ও স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে বালু ব্যবসা পরিচালনকারী ১শ’ ২৫ জনকে নোটিশ করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, অভিযানের প্রথমদিনে ৫ হেক্টর ভূমি উদ্ধার করা হয়। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করতে পেরেছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, সকাল ১০ টা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। সকল মহল থেকে যথাযথ সাড়া পাচ্ছি। আমাদের উচ্চেদ অভিযানে আমরা কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীদিনেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানে মতলব উত্তর থানা পুলিশের কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, সেচ প্রকল্প এলাকার পানি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা করেন।