মোঃ জামাল হোসেনঃ
শাহরাস্তি উপজেলা সদর সমাজ কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছেন সদর সমাজকল্যাণ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ
চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভাধীন উপজেলা সদর নিজ মেহের সমাজ ব্যবস্থা অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় রোববার (১০ জুলাই) শতাধিক পরিবারের মাঝে এ মাংস প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, শত বছর পূর্বে নিজ মেহের উপজেলা সদর গ্রামে সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছিল।
শাহরাস্তি উপজেলা সদর সমাজ কল্যাণ সোসাইটি ব্যবস্থার মাধ্যমে কোরবানির মাংস প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সমাজ ব্যবস্থার বাহিরে এবং যারা সমাজ ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তারা ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে নিজ নিজ উদ্যোগে কোরবানির মাংস মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন।
জানা যায় আগের কালের মানুষ এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সমাজ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করে সামাজি কভাবে বন্টন করে অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেন। যা কোনো ধরনের সমালোচনা ছাড়াই শতবর্ষ পর্যন্ত চলমান রয়েছে। যারা এই সমাজ ব্যবস্থার নেতৃত্ব দেন, তারা বিনা পারিশ্রমিকে কাজটি করে থাকেন।
উপজেলা সদর সমাজ কল্যাণ সোসাইটি জানা উপজেলা সদরকেন্দ্রিক ১০টি গরু ও ছাগল কোরবানি হয়ে থাকেন। আমাদের লোকজনকে যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা স্ব-ইচ্ছে কোরবানির মাংস সোসাইটির মাধ্যমে সামাজিকভাবে বন্টনের সিদ্ধান্ত নেন। আমরা কোরবানির মাংস নিজ দায়িত্বে এনে বিনা পারিশ্রমিকে সংগঠনের সকল সদস্যদের সহযোগিতায় সামাজিকভাবে কোরবানির মাংস বন্টন করে অসহায়দের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলা সদর সমাজ কল্যাণ সোসাইটিতে গরুর মাংস তিন ভাগের এক ভাগ সমাজে আসে। যারা কোরবানি দিতে না পারে, সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমবণ্টন করে তাদের মাঝে কোরবানির মাংস দেয়া হয়ে থাকে।
শাহরাস্তি উপজেলা সদর সমাজকল্যাণ সোসাইটির যারা সহযোগিতায় ছিলেন সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম সুমন,সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম কাজল, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন আরো উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ, রাজিব, সোহাগ পাটোয়ারী, মোঃ জামাল হোসেন শরিক হোসেনসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।