স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বদলী হয়েছেন বান্দরবন জেলায়। তার এ বদলীর খবরে স্বস্তি পেয়েছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। তিনি সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন মামলার পেচে সাধারণ মানুষও ছাড় পায়নি তার কাছ থেকে। তাই তার বদলীর খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ সময় মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের ৩শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে ওসি শাহশাহান কামাল। এমনটাই অভিযোগ সর্বমহলের। অনেক ব্যবসায়ীকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানান।
ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নিয়ে ওসি শাহজাহান কামাল আমাকে অনেক হয়রানি করেছে। টাকার বিনিময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়ে তাদের অনেক হয়রানি করেছেন তিনি। তার বদলীর খবর শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে। এমন অফিসারদের কারণেই পুলিশে সুনাম নস্ট হয়।
দশানী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল সরকার বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আগুন দিয়েছে এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো আমাকে আটক করে থানায় নিয়ে হয়রানি করেছেন ওসি শাহজাহান কামাল। যা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। এছাড়াও কলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করেছেন তিনি। আমি চাই মতলব উত্তর থানায় একজন জনবান্ধব ওসি আসুক। যাতে করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম থাকে এবং সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।
কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহŸায়ক তাজুল ইসলাম শ্যামল বলেন, ওসি শাহজাহান কামাল একজন লোভী অফিসার। তিনি খামাখা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন। আমি নিজেও তার দ্বারা হয়রানি স্বীকার হয়েছি। একটি ঘটনায় মামলা করতে গিয়েছি তিনি মামলা নেননি, উল্টা আমাকেই হয়রানি করেছেন। তার বদলীর খবর শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক এসএম মনির বলেন, যে কেউ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেই তিনি মামলা নিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করেছেন, আটক করেছেন। কিন্তু সঠিক ঘটনায় হামলার শিকার হয়েও মামলা করতে গেলে তিনি মামলা নেননি। বরং আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়ারানি করেছেন। যেমন কর্ম তেমন ফল, তার বদলী হয়েছে এটা শুনে আমার কাছে স্বস্তি লাগছে।
এছাড়াও এ ব্যাপারে অনেক সাধারণ মানুষের সাথে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, ওসি শাহজাহান কামাল যেকোনো ঘটনায় দুপক্ষে সাথেই ব্যালেন্স করতেন। ন্যায় অন্যায় বুজতে চাইতেন না। পছন্দ ধরপাকর করতেন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন। মামলা করতে গেলে তিনি মনমতো হলে মামলা নিতেন আর ইচ্ছা না হলে নিতেন না। যেকোন চুরির ঘটনাও তিনি হারিয়ে বলে জিডি করান।