ঘটনার বিবরনে জানাযায়, পূর্ব রাজারগাঁও পঞ্চায়েত বাড়ীর মৃত আ. রহমান মিজির চার ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল। একে একে সবাই মৃত্যুবরণ করলেও ভাগ্যক্রমে এখনও বেচেঁ আছেন বৃদ্ধ আব্দুল খালেক। মৃত ভাই বোনের অংশসহ আ. খালেক অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন সময় এলাকার ও বাড়ীর দুষ্ট লোকদের অত্যাচারে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে চলে যান যশোর জেলায়। সেখানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন আ. খালেক। মাঝেমধ্যে নিজ বাড়ীতে সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য আসলে বাড়ীর ভুমিদ্যসুরা জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহনে মরিয়া হয়ে উঠে।
সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ পূর্বে যশোর থেকে নিজ বাড়ীতে আসেন বৃদ্ধ আ. খালেক। কিন্তু বাড়ীর একটি পক্ষ নুরে আলম ও সাদ্দাম গংরা তার সম্পত্তি জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি নিতে চায়। তাদের ভয়ে বৃদ্ধ আ. খালেক বাড়ী থেকে পালিয়ে হাজীগঞ্জ ও চাঁদপুরের বিভিন্ন বাসায় আত্যগোপনে রয়েছেন। এ সুযোগে ভুমিদ্যসুরা তার বাড়ীর সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। বৃদ্ধা নিজেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে ভুমিদ্যসুদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। বৃদ্ধার নিজের খরচ চালাতে একই বাড়ীর মোকলেছ মিয়ার কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করতে গেলে সেখানে প্রতিপক্ষ নুরে আলম ও তার বড় ভাই শফিকুলের ছেলে সাদ্দাম বাধাঁ হয়ে দাড়ায়।
বৃদ্ধা আ. খালেক বলেন, আমরা চার ভাইয়ের মধ্য তিন জন ও দুই বোন মৃত। আমি জীবিত থেকেও যেন মৃত অবস্থায় এক প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় বেচেঁ আছি।
বাড়ীর প্রতিপক্ষের লোকজন নুরে আলম, তার বড় ভাই শফিকুলের ছেলে সাদ্দাম আমার জায়গা দখল করে হামলা করতে আসে। তাদের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
প্রতিপক্ষ পঞ্চায়েত বাড়ীর নুরে আলম বলেন, আমি আব্দুল খালেকের বোন থেকে জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু সেই সম্পত্তি আমাদেরকে স্বীকৃতি না দিয়ে গোপনে বাড়ীর মোকলেছ মিয়ার কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে।