মনিরুল ইসলাম মনির:
কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় মতলব উত্তরে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে এলাকার কৃষদের। এবার এ অঞ্চলের সৌখিন চাষীরা গম চাষ করা করেছে। গমের বাম্পার ফলনে আশাবাদী কৃষকরা। অনুক‚ল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার গমের বাম্পার ফলন পাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর স‚ত্রে জানা গেছে, এবারে উপজেলার ১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং গম চাষ হয়েছে ১১ হেক্টর জমিতে। গম চাষে খরচ কম অথচ ফলন ভালো ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে গম চাষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফৈলাকান্দি এলাকার গম চাষি আব্বাছ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর আমি ১ বিঘা জমিতে গম আবাদ করে আসছি। ধানের চেয়ে খরচ কম করে দ্বিগুণ গম উৎপাদন করা যায়। অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের বীজ রোপণ করেছি। আশা করছি এবছর গমের ভাল ফলন হবে। ভাল ফলন পেলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে থাকতে পারবো।
জহিরাবাদ এলাকার কৃষক সুফিয়ান বলেন, এলাকার যেসব জমিতে আগে বোরোচাষ করা হতো সেই জমিগুলোতেই আমরা এবার গম চাষ করছি। বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠে না। কিন্তু গমের উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও অনেক বেশি থাকে। এ জন্য আমরা গম চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।
উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে এবং নিয়মিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ পরামর্শ দিয়ে আসছি।
উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেদোয়ান আহমেদ বলেন, এলাকার কৃষকরা যাতে গম যথাযথভাবে স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল গম উৎপাদন করতে পারেন এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের কাছে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে গমকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গমের আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আমরা প্রতিনয়িত মাঠে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আশা করছি এবছর কৃষকরা গমের ভাল ফলন পাবেন।