মনিরুল ইসলাম মনির:
আমিরুল ইসলাম রাসেল। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে তিনি অসহায় পাশে দাঁড়ান। প্রতিষ্ঠা করেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন সারা ফাউন্ডেশন। চাকরির পাশাপাশি এই তরুণ সংগঠনের ব্যানারে স্বেচ্ছাসেবীমূলক বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন।সমবয়সী এক ঝাক তরুণদের নিয়ে গড়া সংগঠনটি প্রতিনিয়ত নিচ্ছেন সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ। সারা ফাউন্ডেশনের উল্লেখ্যযোগ্য কাজগুলো হচ্ছে -স্বাবলম্বী প্রজেক্ট, বৃদ্ধাশ্রম ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ, রক্তদানের সহযোগিতা, অসহায় চিকিৎসা প্রদান,করনো। কালীন সময়ে ফ্রি অক্সিজেনসেবা শিশুদের মাঝে নিজের শৈশব, খাতা,কলম,রাবার,স্কেল, পেন্সিল, কাটার পেন্সিল বক্স, পেন্সিল মাক্স চকলেট বিতরণ বেওয়ারিশ অনেক বৃদ্ধের দেখাশোনার দায়িত্ব সহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনটি । বিশেষ করে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দিচ্ছেন সংগঠনের সেচ্ছাসেবকরা। বর্তমানে সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্য ১৭১ জন ছড়িয়েছেন। চাঁদপুর জেলা সহ বিভিন্ন জেলা সেচ্ছাসেবকরা নিজ নিজ জেলায় দুর্যোগে ত্রান-সাহায্য বিতরণ সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ছাড়া জনসাধারণের মাঝে সামাজিক সচেতনতা, বৃক্ষরোপণ,সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদে নতুন পোশাক, বোনদের জন্য সেনিটারি, একটু খেয়াল করলেই দেখবেন পথ শিশুদের যৌন নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। নিজেদের কার্যক্রম ও আগামী পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে আমিরুল ইসলাম রাসেল বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ও বৃদ্ধ বেওয়ারিশ বাবা মা এতিমবাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।
বিশেষ করে একটি ভবন নির্মাণ করে, স্থায়ীভাবে লালন পালন করা, এই সেবামূলক কাজ করতে গিয়ে বিশাল এক নেটওয়ার্ক তৈরি হয় আমাদের। তাই মানুষ এখন যে কোন ভাল কাজ করতে গেলে আমাদের খোঁজে। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। অথচ আমরা পাঁচ বন্ধু যখন এই কাজ শুরু করি তখন আমাকে পাগল বলতো। তবে সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি অনেক সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে বৈষম্যহীন এক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি। সমাজ বিনির্মানে রোল মডেল হিসাবে থাকবে সারা ফাউন্ডেশন সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই আমরা। আর স্বপ্ন দেখি,দেশের প্রতিটা ইউনিয়নে তরুণরা একযোগে কাজ করবে। যেকোনো সমস্যা তরুণরা সবার আগে এগিয়ে যাবে।