ফরিদগঞ্জ বিশকাটালি গ্রামে ১৩ শতক জমি কিনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি নন,এফ,আই,আর, নং ৯১/২৩ মামলা জারি করা হয়েছে। তাহা বর্তমানে জেলা কোটে ফৌজদারী কার্যবিধিতে চলমান। তারপরও যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২ নং পশ্চিম চর দুখিয়া ইউনিয়নের বিসকাটালী গ্রামের( রাঢ়ী বাড়ী) লনি মিয়া রাড়ী ৬ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে ছেলে আক্কাছ মিয়া এর পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হিসেবে নাল ৪ ও বাড়ি ৯ শতক মোট ১৩ শতক জমি জমি আক্কাস মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শামসুন্নাহার এর কাছে বিক্রয় করেন। দলিল নম্বর ৩৪১২ তাং ৪/৪/২৪ ইং। ১৭৪ নং বিশকাটালী মৌজার বি এস খতিয়ান ১৪৮৩ ও বি এস দাগ নং ৬৪৭৫ বাড়ী ৬৫৭৬,৬৫৮১ নাল এর অন্দরে ১৩ শতক। আলী হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার ৩৪১২ নং দলিল মূলে মালিক হইয়া বিগত ১৮/৪/২৩ ইং তারিখে স্বামী আলী হোসেনকে দানপত্র দলিল করিয়া দেন যাহার দলিল নং ৩৬৮৩ ফরিদগঞ্জ সাফ রেজিস্টার অফিস।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলী হোসেন(৬০) বলেন, আমরা ভাই-বোন দশজন। আমরা প্রত্যেক ভাই বোনই হারা হার হিসেবে পিতার সম্পত্তির মালিক। আমার স্ত্রী শামসুন্নাহার তাহার বাবার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ১৩ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ করেন। খরিদ করার কিছুদিন পরেই আবার সেই সম্পত্তি আমাকে দানপত্র করিয়া দেন। আমার সহোদর ভাই ইব্রাহিম (৭০)গংরা আমাদেরকে ওই সম্পত্তি বেদখল দেয় এবং জোরপূর্বক সেখানে ঘরবাড়ি করার চেষ্টা করে এমনকি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসতেছে ।এই সম্পত্তির ধারে কাছে গেলে আমাদেরকে জানে মেরে ফেলবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো আবদার রাখবো আমাদের খরিদ করা সম্পত্তি বুঝিয়া পাইতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়া(৭০) বলেন, আলী হোসেনের জায়গা কিনা সত্য কিন্তু তাদের সাথে আমার পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়া একটু দ্বন্দ্ব আছে। আমার সম্পত্তি বুঝ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সম্পত্তির বুঝ দেওয়া হবে না। এবং আলী হোসেন কিছুদিন পূর্বে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমি এই সম্পত্তি নিয়ে আইনিভাবে মোকাবেলা করব।