আজ শনিবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের সকল প্রকার প্রচার-
প্রচারণা শেষ হচ্ছে। নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি। ভোট নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের
নানা সমীকরণ।
জয়ের জন্য প্রতিনিয়ত নিজেদের মতো করে কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী
আরিফ উল্যাহ সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সেলিম হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল
হক সরকার, আবদুল ওয়াদুদ মাষ্টার। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতি। নির্বাচনে
মেয়র পদে জয়-পরাজয়ে নিয়ামক বা ফ্যাক্টর কারা হবেন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা নাকি দলীয় প্রতীক, নারী নাকি নতুন ভোটার কারা নির্ধারণ
করবেন পৌরপিতা- পৌরসভা জুড়ে এমনই আলোচনাই সবার মধ্যে।
পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণা।
মেয়র পদে চার জন প্রার্থী থাকলেও সকলের দৃষ্টি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরিফ উল্যাহ
সরকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক সরকারের দিকে। আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের প্রচার
প্রচারণা করছেন নৌকার প্রার্থী। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক সরকার গোপনে
ভোটারদের কাছে গণসংযোগ করছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী
মো. সেলিম হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ মাষ্টার মাইকিংয়ে প্রচারনা করছেন।
গত কয়েক দিনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ঘুরে ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে জয়-পরাজয়ে আরো কিছু ফ্যাক্টর কাজ করবে। দলীয়
প্রতীক বা নিজস্ব ভোটারদের সঙ্গে ব্যক্তি ইমেজ তো থাকবেই। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর
যিনি এসব ভোট নিজের বাক্সে নিতে পারবেন, তিনিই হাসবেন বিজয়ের হাসি। আর ভোটারদের
প্রত্যাশা-ভয়হীন পরিবেশে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে চান তারা। যেখানে ঘটবে
তাদের মতের প্রতিফলন। সুখে-দুঃখে পাশে পাবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরিফ উল্যাহ সরকারের নৌকার পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ
সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল, বাংলাদেশ
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল’সহ দলীয়
নেতৃবৃন্দ পৌর এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে ভোট প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নুরুল হক সরকার ও আবদুল ওয়াদুদ মাষ্টারকে বিএনপি থেকে
আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছেন।