অত্যান্ত ঝাঁকজমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠের এক দশকে
পদার্পন উদযাপন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর জেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ¦ ওচমান গণি পাটওয়ারী বলেন, বর্তমানের
সংবাদপত্র পরিচালনা করে টিকে থাকা কঠিন। পত্রিকা বিক্রি করে বা বিজ্ঞাপন দিয়ে যে
আয় হয় তা দিয়ে ব্যয় নিবারণ করা অত্যান্ত কঠিন কাজ। তার পরেও জেলার পত্রিকার
মালিকরা তাদের পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছেন। তবে অর্থশালীরা দানের হাত
বাড়িয়ে দিলে কোন পত্রিকায়ই বন্ধ হবে না। সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠ নিয়মিত প্রকাশনা
চালিয়ে ১০ বছরে পাখা রাখছে তা অত্যান্ত আনন্দের খবর। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার
কণ্ঠের সম্পাদক কামাল হোসেনকে কাছ থেকে দেখেছি সে অত্যান্ত মেধাবি
সাংবাদিক। কামাল সব কাজে বুদ্ধি রাখে। আশা করি আমার কণ্ঠ আরও কয়েক দশক
এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইউনুস একজন সাবলিল উপস্ধসঢ়;হাপক। তার সাহসিকতার টরিচয় দিয়ে
হাসপাতাল করেছেন। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। যার জন্য ৭ বছর ধরে জেলা
পরিষদের দায়িত্ব পালন করছি। ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।
দেশের জন্য লিখেছেন, যারা স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন তারাই তো সাংবাদিক।
আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। আমাদের যা কিছু অর্জন সবই রক্তের বিনিময়ে এসেছে।
আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়েছি। কামাল হোসেন যে কষ্ট করেছে
তার কারণে আমার কণ্ঠ পত্রিকা দশ বছরে পদার্পণ করেছে। আমার দৃষ্টিতে হাজীগঞ্জ
একটি সমৃদ্ধশালী উপজেলা। আমাদের মাঝে ঐক্য আছে বলেই চাঁদপুর প্রেসক্লাব
সমৃদ্ধশালী প্রেস ক্লাবে রূপ নিয়েছে। আপনাদের কাছে আমি চিরদিনই ঋনি। আমার
নির্বাচনে আপনারা সাংবাদিকরা যে ভূমিকা রেখেছেন সেজন্য ।
তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দিবে। আর
নির্বাচনের সময় অন্যান্য দলে নির্বাচনের অংশ গ্রহন করেব। কিন্তু দেশের মধ্যে
অরাজকতা সৃস্টির জন্য একটি চক্র পায়তারা করছে। সরকার তা করতে দিবে না। আগামী
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হবে এবং সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ।
সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠ পত্রিকার ৯ বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পদার্পন উপলেক্ষ বৃহস্পতিবার ২৪
শে আগস্ট সকাল এগারো ঘটিকায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় কেক কাটা ও
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কেক কাটা ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ
এইচ এম আহসান উল্লাহ বলেন, যেখানে দৈনিক পত্রিকা টিকিয়ে রাখা
কঠিন,সেখানে একটি উপজেলা থেকে সাপ্তাহিক পত্রিকা নিয়মিত নয় বছর পেরিয়ে
দশ বছরে পা রাখলো এবং একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ টা অত্যান্ত সুখবর। আশা করি
সাপ্তাহিক আামর কণ্ঠ এগিয়ে যাবে আরো বহুবছর।
বিশেষ অতিথি চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের
প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত বলেন কামাল আমার হাতেগড়া সাপ্তাহিক থেকে।
সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠ এবং পরবর্তী দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সম্পাদক কিছু কৌশল
সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠে ব্যবহার করায় সে সফল হয়েছে। তা না হলে সাপ্তাহিক আমার
কণ্ঠ পত্রিকা টিকে থাকা কঠিন। তাঁর পরে ও আমার কণ্ঠ যে সুনাম অর্জন করেছে তা
বিরল। আশা করি আমার কণ্ঠ এ সুনাম নিয়ে এগিয়ে যাবে যুগ যুুগ।
সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ কামাল
হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশিষ্ট উপস্থাপক ও চাঁদপুর ফেমাস হসপিটালের মালিক এম
ইউনুছ উল্লাহর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর
প্রেসক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, চাঁদপুর
প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি ও মেঘনা বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশ গিয়াস উদ্দিন
মিলন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি বিএম হান্নান, চাঁদপুর
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মেঘনা বার্তার সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী,
দৈনিক দেশ কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক এনায়েত মজুমদার, ত্রিনদী
পত্রিকার প্রতিষ্ঠতা সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, বিশিষ্ট
রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন বতু, মোঃ জাকির হোসেন মিয়াজি, শিক্ষক
মাহমুদা খানম, চাঁদপুর ফটোসানালিষ্ট এসোসিয়েসনের সভাপতি এম এ লতিফ।
এছাড়াও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ
সম্পাদক রহিম বাদশা, জিএম শাহীন, লক্ষন চন্দ্র সুত্রধর,সহ চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও
অন্যান্য সংগঠনের সাংবাদকিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো সুন্দর করতে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিশুদেরকে উপস্থিত করা হয় এবং তাদের দিয়ে সাপ্তাহিক আমার কণ্ঠের জন্ম
দিনের কেক কাটা হয়।