চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভার একটি কক্ষে চালের গুদামের সন্ধান মিলেছে। দাফতরিক কার্যক্রম চলে এমন ভবনের কক্ষে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মজুদ কৃত ওই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, পৌর ভবনের নিচতলার পশ্চিম পাশে ডাবল তালা লাগানো একটি কক্ষের জানালা দিয়ে এসব খাদ্যসামগ্রী দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় উৎসুক লোক ভবনের পশ্চিম পাশে এসব বস্তা দেখতে উঁকি দিচ্ছেনা উৎসুক জনতার দাবী, গত কোরবানি ঈদের সময়ে
বরাদ্দকৃত দরিদ্রের চাল বিতরণ না করে এখানে মজুদ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার এ কক্ষ খালি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যা স্থানীয়দের তৎপরতার কারণে সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তিনি গত ৫ আগষ্ট থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
পৌরসভার সচিব তোফায়েল আহমেদ শেখ এ বিষয়ে অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি প্রথমে জানিয়েছেন এগুলো তাদের ক্রয়কৃত চাল। পরে নিজের বক্তব্য থেকে সরে গিয়ে বলেন, সময়ের অভাবে এ চালগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয় নি। যার নেপথ্যে কাউন্সিলরদের দ্বন্দ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সভার এক কর্মচারী জানান, কক্ষের ভেতর রাখা চাউলের বস্তা গুলো যাতে কেউ সরিয়ে নিতে না পারে সেজন্য একজন কাউন্সিলর আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দেন।