হাজীগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে সড়কের জমি দখল করে স্থাপনা (দোকানঘর) নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভাধীন খাটরা-বিলওয়াই এলাকার মো. আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গত বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারী) মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করেন, সওজ কর্তৃপক্ষ।
তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং বাধা উপেক্ষা করে পৌরসভাধীন ২১২নং হাল ৮৪নং খাটরা-বিলওয়াই মৌজা সিএস ২৯, এসএ ২৭, বিএস ৭৪৮নং খতিয়ানভুক্ত সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন আক্তার হোসেন।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ মিঠানিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মানের কাজ শুরু করেন পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ড ধেররা এলাকার আক্তার হোসেন। খবর পেয়ে সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি প্রয়োজনীয় ও সম্পত্তি অধিগ্রহণের কাগজপত্র দেখে দোকানঘর নির্মাণকৃত স্থানটি সড়ক বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে চিহিৃত করেন এবং আক্তার হোসেনকে দোকানঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহৃত রাখেন আক্তার হোসেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি তিনি হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুককে অবহিত করেন। সওজ কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯৪২-৪৩ সালে এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে ওই স্থানসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করেন সরকার। যা ঢাকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া উল্লেখিত ভূমিতে সড়কের মামলাও চলমান রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আক্তার হোসেন বলেন, ওই খতিয়ানের ৪৪৫ দাগে ৭৮ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। এরমধ্যে সিএন্ডবি অধিগ্রহণ করেছে ১৬ শতাংশ, কিন্তু তারা পরবর্তীতে রেকর্ড করে ২১ শতাংশ। এছাড়াও অধিগ্রহণ ছাড়াই আরএস খতিয়ানের মাধ্যমে জানতে পারি সিএন্ডবি আরো ২২ শতাংশ রেকর্ড করে।
এসময় তিনি আরো বলেন, সিএন্ডবির সম্পত্তি ৮০২নং খতিয়ানে, আর আমাদের সম্পত্তি ৮০৩নং খতিয়ানে। যার ফলে আমরা আমাদের সম্পত্তি ভোগ-দখলে আছি। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, তাই, আমরা আইনিভাবেই মোকাবেলা করবো। কিছুদিন পূর্বে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের দোকানঘরটি ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে সংবাদকর্মীদের জানান।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ বলেন, গত বুধবার আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আক্তার হোসেনকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি জোরপূর্বকভাবে দোকানঘর নির্মান কাজ অব্যাহৃত রেখেছেন। যার ফলে বিষয়টি আমি ওসি সাহেবকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এরপরও যদি তিনি কাজ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।