চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান। সোমবার বিকালে এ অভিযানে ভোক্তা ও খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পৃথক হারে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একটি মুদি দোকানের গোডাউনে থাকা তেল উপস্থিত খুচরা বিক্রেতা (দোকানদার) ও ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
এর মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিগ মশল্লার দোকানে ৩ হাজার টাকা ও লিটন সাহা স্টোরে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন এবং জয়রাম স্টোরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত জাহান। এসময় বেশ কয়েকটি মুদি দোকান পরিদর্শন করে সয়াবিন তেল মজুদ না করা এবং দৃশ্যমান স্থানে পন্যের মূল্য তালিাকা সাঁটানোর নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বেশ কয়েকজন মুদি দোকানদার ও ক্রেতা অভিযোগ করেন, পাইকারি বিক্রেতা (পরিবেশক) এবং মুদি দোকানে সয়াবিন তেল আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তারা নেই বলে জানান।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাৎখনিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিগ মশল্লার দোকানে ৩ হাজার টাকা ও লিটন সাহা স্টোরে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন এবং একই সময়ে পাইকারি সয়াবিন তেল বিক্রেতা (পরিবেশক) জয়রাম স্টোরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত জাহান।
এসময় জয়রাম স্টোরের গোডাউন পরিদর্শন করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন। তিনি সয়াবিন তেলের মজুদ দেখতে পেয়ে তাৎখনিক উপস্থিত খুচরা বিক্রেতা (মুদি দোকান) ও ভোক্তাদের কাছে তেল বিক্রি করার নির্দেশনা দেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দোকানদের কাছে পাইকারি মুল্যে ও ভোক্তাদের কাছে এমআরপি মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বাজার তদারকি অভিযানে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।