মতলব উত্তরে রমজানের শুরুতে হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে লেবুর দাম। পাইকারি মোকামে হালি ৭০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে তা ছুঁয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। উপজেলার ছেঙ্গারচর, নতুন বাজার, কালিপুর, কালির বাজার, সাহেব বাজার, মোহনপুর কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। আড়তদাররা বলছেন, লেবুর ফলন স্মরণকালের সর্বনিম্ন হওয়ায় এবার সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ছেংগারচর কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বেপারী, খায়ের খান ও শাহজালাল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই লেবুর বাজার চড়া। তবে আজকের বাজারে দামটা ১২০ ছুঁয়েছে। এবার লেবুর ফলন খুব কম হয়েছে। সরবরাহও কম। তাই দাম চড়া। এখানে বিক্রেতাদের কিছু করার নেই। চাহিদা আর সরবরাহের কথা বিবেচনায় দামের এই চড়াভাব আরও বেশ কিছুদিন থাকবে।
একই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মোহন মিয়া বলেন, শীতের শেষদিকে লেবুর বাজার একটু চড়াই থাকে। রমজান মাস, তাই লেবুর দাম বেড়েছে। এবার অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি। ফলন কম হওয়ায় দামে এমন অস্থিরতা বিরাজ করছে।
সরেজমিন নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি লেবু প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এক ডজন কিনলে ৩০০ টাকা রাখা হলেও হালি বিক্রি হচ্ছে ঠিক ১২০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু তুলনামূলক কিছুটা কম। এর হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
বজলু বেপারী নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে হালি ৭০-৮০ টাকায় আনি। অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তাই ১২০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে সমান হারে।
আনোয়ার নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে প্রতিদিন ১০০ লেবু আনতাম। একটাও থাকত না। আর এখন মাত্র এক ডজন লেবু আনি। তবু দিন শেষে দুই-তিনটি অবিক্রীত থেকে যায়।
অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে সুজাতপুর ও নন্দলাল পুর বাজারেও। এ দুটি বাজারে দোকানভেদে দেশি লেবু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। লেবুর এই আকাশছোঁয়া দামে বিস্মিত এখানকার দোকানদাররাও।
আমান উল্লাহ বেপারী নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আর অধিকাংশ সময়ই লেবুর ব্যবসা করেছি। তবে এত দাম আগে কখনো দেখিনি।
বাজার থেকে ইফতারির পণ্য কিনে ফিরছিলেন সফিকুল ইসলাম নামে একজন। তিনি জানান, অনেকগুলোর দাম গত রোজার মতোই রয়েছে। তবে আরও কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আধুরভিটি গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও লেবুর এত চাহিদা ছিল না। রোজার কারণে হঠাৎ করে দাম অনেক গুণ বেড়ে গেছে।