রমজানের প্রথম দিন থেকেই চাঁদপুর শহরে বাঙালিয়ানা ইফতার বাজারে মিলছে পুরান ঢাকার সুস্বাদু- সুস্বাস্থ্য – স্বল্প মূল্যে নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী ইফতার। বড় বাপের পোলায় খায়’ কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। পুরান ঢাকার বিখ্যাত ইফতারির স্বাদ এই প্রথম চাঁদপুর বাসীর কাছে পৌঁছে দিতে নবমবারের মতো করে বাঙালিয়ানা ইফতার বাজারে আয়োজন করা হয়েছে নানা মুখরোচক ইফতার আইটেম।
৪ মার্চ ৩য় রমজান মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, স্যামস্যাং শোরুম এর পাশে বাঙালিয়ানা ইফতার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের এক মাথা থেকে অন্য প্রান্তে ভরে উঠেছে হরেক রকমের ইফতারের আইটেমে। বাতাসে ছড়িয়ে পরেছে সুস্বাদু খাবারের ঘ্রাণ। ঐতিহ্যবাহী ইফতারের ৬২ আইটেমর ইফতার এখন বিক্রি হচ্ছে বাঙালিয়ানা ইফতার বাজারে। খাসির লেগ রোস্ট ৭০০থেকে ৮০০ টাকা প্রতি পিছ, বড় বাপের পোলা খায় ৮০০ টাকা কেজি, জামাই আদর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বিপ হান্ডি ১ কেজি ১৪০০ টাকা, চিকেন রোবা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বাম্বু চিকেন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, জাম্বু চিকেন ৬৫০ টাকা, সম্রাট ৭৫০ টাকা।
বিরিয়ানিপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বাসমতি ও চিনিগুড়া চাউলের মাটন কাচ্চি, মোরগ পোলাও, বিফ তেহারি। রোস্টপ্রেমীদের জন্য চিকেন ও মাটনের নানা ভ্যারাইটি। আর কাবাবের সমারোহে রয়েছে চিকেন রেশমি, হরিয়ালি, তন্দুরি, বিফ শিক কাবাবের মতো আইকনিক পদ। এছাড়া হান্ডি কাবাব, ডিম চপ, কালা ভুনা, মাটন হালিমের মতো পুরান ঢাকার বিশেষ আইটেমও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
রোস্ট আইটেমের মধ্যে রয়েছে- চিকেন রোস্ট, চিকেন মাসালা, মাটন লেগ রোস্ট, মাটন রোস্ট। কাবাব আইটেমের মধ্যে রয়েছে- চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন হরিয়ালি কাবাব, চিকেন তন্দুরি কাবাব সহ নানা আইটেমের কাবাব।
বাঙালিয়ান ইফতার বাজারের স্বত্বাধিকারী নাইম জামাল মোল্লা বলেন পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারি চাঁদপুর বাসীর জন্য নিয়ে এসেছি। যেহেতু এ অঞ্চলের মানুষের পুরান ঢাকায় যাওয়া কঠিন। তাই তারা এ পুরান ঢাকার ইফতারের স্বাদ নিতে পারে না। যে কারণে আমরা এখানে পুরান ঢাকার ইফতারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের ইফতার আয়োজন গুলোর মধ্যে রয়েছে ৬২ আইটেমর ইফতারের মেনু। বিভিন্ন প্রকারের নান, স্পেশাল নান, বিরিয়ানি,দই বডা, হালিম, ২০ আইটেমের চিকেন, বড় বাপের পোলা খায়, জামাই আদর, রোস্ট, কাবাব, পায়া, বিফ হান্ডি, লাচ্ছি, বিভিন্ন মিল্ক শেক, রেগুলার, স্পেশাল ফালুদা, স্পেশাল জিলাপি, মাঠা ইত্যাদি। দামও মোটামুটি বাইরের তুলনায় কম। যে কেউ এখানে এসে ইফতার করতে পারবেন এবং নিয়ে যেতে পারবেন। এখানে পরিবেশ ভালো ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ হওয়ায় আরামে ইফতার করা যায়। আমাদের ইনডোরে এক সাথে ষাট জন লোকের ইফতার করার সুব্যবস্থা আছে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এখানে হাইজিনটা খুব ভালোভাবে মেনে চলা হয়।
পুরান ঢাকার ইফতারের স্বাদ নিতে আসা ক্রেতা সাইফ বলেন এখানের খাবারে হাইজিন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। পরিবেশ সুন্দর, শিশুসহ পরিবার নিয়ে আসতে পারছি। বড় বাপের পোলা খায় আর মাটন হালিম কিনেছি। আরও কিছু যদি পছন্দ হয় সেগুলো নেব।