নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের নীলাচল পরিবহন দখল নিতে নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আহত হয়েছেন নীলাচল পরিবহনের ফোরম্যান আবুল হাসেম, লাইনম্যান আজাদ, সিদ্দিক, নূরনবী, বেলাল, হাফেজ সজিবসহ অনেকে।
১৬ মার্চ রাত ১১ দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহীনুর আলম।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, নীলাচল পরিবহনের একটি গাড়ী মিজমিজি উত্তর পাড়া বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের দেয়াল ভেঙে ফেলে ওই বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মিমাংসা করে দিবে বলে নীলাচল পরিবহনের লোকজনকে আসতে বলেন ওই মসজিদের সভাপতি পরিবহনের লোকজন আসলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর হক বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আক্তার হোসেন টুটুল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইসমাইল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সামসুদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফিরোজ আহমেদসহ অনেকে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে আমাদের কাজ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। অভিযুক্তরা ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে উল্লেখ করা হয় আগামী এক মাসের মধ্যে নীলাচল পরিবহনের ডিপো সরিয়ে নিতে হবে ডিপো সরিয়ে না নিলে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে আর প্রতিমাসে চাঁদা দিতে হবে।
ইসমাইল হোসেন হুমকি দিয়ে বলে এই ঘটনার বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা করলে, তোদের খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো এবং তোদের নীলাচল গাড়ী এ এলাকায় রাখলে, আমাদের প্রতি মাসে মাসিক চাঁদা দিতে হবে, যদি না দিস, তাহলে তোদের গাড়ী ভাংচুর করাসহ অগ্নিসংযোগ করে পুরিয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। বিবাদী দের হুমকি’র কারণে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইসমাইল হোসেন ও তার লোকজন যে কোন সময় আমাদের খুন জখম করাসহ আমাদের গাড়ী ভাংচুর করে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।