রবিবার ১৭ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ আনসার জেলা কামন্ড্যান্ট কার্যালয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট কনিজ ফারজানা শান্তা ও সদর উপজেলা কর্মকর্তার লিটনের উপস্থীতিতে আনসার বাহিনীর মহপরিচালকের প্রশংসা পত্র , ক্রেস্ট ও নগদ ১৯,৯৯০ টাকার অর্থদানের চেক মিরাজুন্নবীর হাতে তুলে দেন। মিরাজুন্নবী একজন সৎ সাহসী সৈনিক তার কারণে নারায়ণগঞ্জ রেল যাতায়েত ব্যবস্থা নিরাপদ ও সুরক্ষীত ছিলো। দফায় দফায় নাশকতাকারীরা নাশকতা চেষ্টা চালালে মিরাজুন্নবী ততবার রক্ষা করেছেন। কখনো রেললাইনের নাট-স্ক্রু খুলার অবস্থায় কখনো হাতবোমা বিস্ফোরণে চালালে আবার কখনো পেট্রোল ঢেলে রেল জালানোর চেষ্টা করলে প্রতিবার তিনি সাহসের সাথে রক্ষা করেছেন। রেলের যাতায়েতের সময় যাত্রীরা তাকে দেখলেই স্বস্তীবোদ করতো সকল যাত্রীরা বলতেন মিরাজুন্নবী আছে বিধায় আমাদের নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের কিছু হয়নি ঠিকঠাক আছে। মিরাজুন্নবীকে সাধারণ জনগণ ভালোবেসে উপাধী দিয়েছিলো রেল হিরো। মিরাজুন্নবীর প্রশংসা বলে শেষ করা যাবে না। গত বছরে জুলাই আগষ্ট মাসের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে আহত হয় অনেক ছাত্র জনতা কিন্তু আহতদের উদ্ধার করতে অনেকেই ভয় পাচ্ছিলো, না যানি সামনে গেলে গুলি খেতে হয় কিন্তু আনসার ও ভিডিপি সদস্য মিরাজুন্নবী ভয়কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে আহত ছাত্রদের উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে পরে। আহত ছাত্রদের উদ্ধার করতে দেখে মিরাজুন্নবীকে লাঠিচার্জ ও গালিগালাজ করেন পুলিশ সদস্যরা এর ভীতরে ছিলেন পূর্বে ফতুল্লাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওসি শাহাদাৎ হোসেন আরেক পুলিশ সদস্য বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেয় কিন্তু মৃত্যুর ভয় না পেয়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন। মিরাজুন্নবী নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল হতাহত ঘটনা ভিডিও ফাইল ফুটেজ সংরক্ষন করতে ব্যস্ত থাকেন এবং প্রতিটি ভিডিও সাবেক আনসার ডিজি আমিনুল হককে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন যে ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও এমপিদের কর্মীরা কিভাবে মানুষ মারছিলো। শামিম ওসমানের গুলিতে আহত ব্যাক্তিদের ছবি,ভিডিও সংরক্ষন করেন এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করেন। সাধারণ জনগণ ও ছাত্রদের উপরে গুলি কারা করছিলো সকল কিছু এক এক করে তালিকা করেন পরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পচার করতে সহযোগীতা করেন আবার নিজের ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। এখানেই শেষ নয় ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় বন্যা দেখা দিলে সেখানার মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ আ¯্রয় কেন্দ্র খোজ করেন। মিরাজুন্নবী নিজ তহবিল থেকে ও রাস্তাঘাট বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে ৮০ হাজার টাকারও বেশি অর্থ উত্তলন করে ফেনি বাসিদের জন্য ২২ প্রকারের খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে কাভার ভ্যানের যোগে নোয়াখালি রওনা হন। প্রায় ৫০০ এর অধিক পরিবারকে সহযোগীতার হাত বাড়ান কিন্তু বিতরনের সময় ছবি বা ভিডিও করেনি কারণ তাদের আত্মসম্মান রক্ষার্থে সেখানে যান লোক দেখানোর জন্য নয়। মিরাজুন্নবী চান ৫৮ লক্ষ ভিডিপি প্রশিক্ষীত সদস্যদেরকে সরকরা নিয়োগ করলে জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াতে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারবে। চুরি ছিনতাই বন্ধ, লুটপাট গুমখুন হতাহত ও ধর্ষণ মুক্ত সমাজ উপহার দিবো ইনশাল্লাহ।