মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ ||

রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর লেকের পাড় থেকে মো. শাহাদত হোসেন মজুমদার (৫১) নামের চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের (প্রকৌশলী) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের অদূরে থাকা একটি রক্তাক্ত ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে।

নিহত মো. শাহাদাত হোসেন মজুমদারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির মৃত আব্দুল বারী মজুমদারের ছেলে। তিনি রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় থাকতেন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই মোতালেব হোসেন মজুমদার সংবাদকর্মীদের জানান, তারা চার ভাই বোন (দুই ভাই, দুই বোন)। শাহাদাত হোসেন মজুমদার পরিবারের সবার ছোট। সে একটি বিদেশি জাহাজ কোম্পানিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক মাস আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। তার ভাই শাহাদাত হোসেন মজুমদার কলাবাগানের বাসা থেকে রাতে নিয়মিত রবীন্দ্র সরোবর লেকের পাড়ে হাঁটতে যান।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করা হয়। এরপর এদিন রাতেই জানতে পারেন ধানমন্ডি থানা পুলিশ লেকের পাড় থেকে তার ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার আজিজুল হক স্বপন সংবাদকর্মীদের জানান, নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহের অদূরে একটি রক্তাক্ত ধারালো ছুরি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।