প্রান্তিকের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আইনি সেবা-সহায়তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুলিশ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হবে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করবে। পুলিশের কাছে ন্যায়বিচার পাবে, ন্যায্যতা পাবে-সেই আত্মবিশ্বাস যেন মানুষের মাঝে সবসময় থাকে। পুলিশকে সবসময় সেবা দিয়ে যেতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি থানায় স্থাপিত ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী’ সার্ভিস ডেস্কসমূহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন।
পুলিশের নতুন এই সেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ। পুলিশ বাহিনী যে সার্ভিস ডেস্ক চালু করেছে, তাতে নারী সমাজ, বৃদ্ধ ও শিশুদের অন্যায়ের প্রতিকারে চাওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে নারীদের জন্য আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে, যারা তাদের ওপর হওয়া অন্যায়গুলো বলতে পারে না।’
তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশি সেবায় গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর, যারা তৃণমূল পর্যায়ে পড়ে থাকে… শত নির্যাতনের মধ্যে যারা প্রতিকার চাইতে পারে না। তাদের আস্থা, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের যে নাগরিক অধিকার রয়েছে সেটা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের সহযোগিতা করতে হবে।’
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেকোনো বাহিনী, যেকেনো ব্যক্তি সফলতা তখনই আসবে, যখন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে… মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’
বাংলাদেশ পুলিশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সব সেবা জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। সততার সাথে কাজ করতে হবে।’