লক্ষ্মীপুরে রমজানে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। জেলায় গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশুসহ দুইজন রোগী মারা গেছেন। বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ শতাধিক রোগী। এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে, পর্যাপ্ত ঔষধপত্রও মজুদ রয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সদর হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বেডে একাধিক রোগী, অনেক রোগীর ঠাই মিলছে আবার ফ্লোরে। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ বুধবার ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। বর্তমানে ৩০ বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৮ জন রোগী। এমন নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে।
একই অবস্থা জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জে। এছাড়া রামগতি ও কমলনগরসহ পুরো জেলায় প্রতিদিন ৩ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান চিকিৎসকরা। এরিমধ্যে গত সোমবার রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নে মীম নামের ২২ বছরের তরুণী ও বুধবার ভোর রাতে সদর হাসপাতালে মরিয়ম নামে দুই বছরের এক শিশু মারা যান।
এদিকে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, টাকা ছাড়া স্যালাইন ও ঔষধপত্র মিলছেনা। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা তা অস্বীকার করে বলছেন, চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেনন্ট মোহাম্মদ মোরশেদ আলম হিরু নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের সঙ্গে বয়স্করাও বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, পর্যাপ্ত ঔষধপত্র মজুদ রয়েছে জানিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আক্রান্তদের স্যালাইন, জিঙ্ক (সিরাপ ট্যাবলেট) খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তবে দু’জন মৃত্যু বিষয় নিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, একজন ডায়রিয়া ও অপরজন নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।