চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩২) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর
ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বিতারা
ইউনিয়নের বাইছারা সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের দাবি রাবেয়াকে
শ^াসরোধে হত্যা করেছে। নিহত রাবেয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামের শেকান্দর
মিয়ার মেয়ে। প্রায় ১৪ বছর আগে বাইছারা সিকদার বাড়িতে প্রবাসী এরশাদ
উল্লার সাথে রাবেয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাংসরিক জীবনে তাদের ঘরে রাকিব
হোসেন (১০), আবু রায়হান (৭) দুই ছেলে ও সুমাইয়া আক্তার (৪) নামের এক মেয়ে
রয়েছে।
সরজমিনে গেলে নিহতের বাবা শেকন্দার মিয়া বলেন, বিয়ের পর জামাই এরশাদ
প্রবাসে কর্মরত রয়েছে। আমার মেয়ে রাবেয়ার সাথে জামাই এরশাদের সাথে ভালো
সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক ভাবে তারা স্বচ্ছল থাকায় জামাইয়ের বাবা, ভাই-বোনেরা
টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে শাররিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন
করতো। এইকথাগুলো রাবেয়া প্রায়ই আমাকে বলতো। তার দাবি মেয়ের শুশ^র রোস্তম
আলী সিকদার, দেবর ফরিদ সিকদার ও ভাসুর জামাল ও কামাল সিকদার ও বোনরা
পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমার মেয়েকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগে ও
রাবেয়ার ভাসুর, দেবর ও শুশ^র আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। গত বুধবার রাত
সাড়ে ১টার সময় মেয়ের ভাসুর কামাল সিকদার আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার
মেয়ে রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে। শোনার পরেই রাতে ছুটে আসি মেয়ের বাড়িতে
বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রতিবেদকের সামনে।
নিহতের শুশ^র রোস্তম আলী সিকদার জানান, কি কারনে রাবেয়া আত্মহত্যা
করেছে, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
নিহতের স্বামী এরশাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, উপস্থিত
সকলের সামনে তার স্ত্রী রাবেয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে
রাখা হয়েছে। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো. মিজানুর রহমান বলেন- ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে আজ কচুয়া থানায়
একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের
রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে।